শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক রানাতুঙ্গার বিপক্ষে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক নারী।
‘হ্যাশট্যাগ মিটু’-এর সুবাদে তারকাদের নানা সময়ের নানা কলঙ্ক উঠে আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিভিন্ন সময়ে তারকাদের কাছে যৌন হেনস্তার কথা সবাইকে জানিয়ে ভারমুক্ত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
এরই জেরে বিপাকে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও বর্তমান মন্ত্রী অর্জুনা রানাতুঙ্গা। রানাতুঙ্গার বিপক্ষে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন এক ভারতীয় বিমানকর্মী। এক ফেসবুক পোস্টে ওই বিমানকর্মী দাবি করেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজ চলাকালীন সময়ে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন।
ফেসবুক পোস্টে প্রথমে সংগীত তারকা অভিজিতের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন এই নারী। এরপর রানাতুঙ্গার প্রসঙ্গ টেনেছেন এভাবে, ‘মুম্বাইয়ের জুহু সেন্টার হোটেলের লিফটে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের দেখেছিল আমার সহকর্মী, সে আবার ক্রিকেটারদের অন্ধভক্ত। তাঁদের অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের রুমে যেতে চেয়েছিল সে। ওর নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ে থাকায় আমিও ওর সঙ্গ নিয়েছিলাম। আমাদের পানীয় (সম্ভবত কিছু মেশানো ছিল) নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। আমি অস্বীকৃতি জানিয়ে সঙ্গে থাকা বোতলের পানিতেই আস্থা রেখেছিলাম। ওরা ছিল ৭ জন ও আমরা দুজন। এমন অবস্থায় তারা দরজায় চেইন লাগিয়ে দিল। অস্বস্তি বাড়ায় আমি ওকে আমাদের রুমে ফিরে আসার জন্য জোর করতে শুরু করলাম।’
‘কিন্তু সে তো ততক্ষণে মোহে পড়েছে (বড় তারকাদের দেখে)। এ কারণে পুলের চারপাশে হাঁটতে যেতে চাইল তাদের সঙ্গে। তখন সন্ধ্যা সাতটা বাজে। পুলের পথটা ছিল হোটেলের পেছনের দিকে, পুরোটাই অন্ধকার। আমি পেছনে ফিরে তাকালাম কিন্তু আমার বন্ধু আর ভারতীয় ক্রিকেটাররা কাউকেই দেখতে পেলাম না।’
‘রানাতুঙ্গা আমার কোমর ধরে আমার ঊর্ধ্বাঙ্গের স্পর্শকাতর অংশে হাত দিয়েছিল। আমি ভয়ংকর কিছু হতে যাচ্ছে, এ ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করি। ওর হাত ও পায়ে লাথি মেরেছি। রানাতুঙ্গাকে ভয়ংকর পরিণতির কথা বলে ভয় দেখিয়েছি। বলেছি পাসপোর্ট বাতিল করে দেব, পুলিশের কাছে জানাব। কারণ সে একজন বিদেশি নাগরিক হয়ে ভারতে এসে ভারতীয় নারীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। সময় নষ্ট না করে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে হোটেলের অভ্যর্থনায় গিয়ে হাজির হলাম। কিন্তু অভ্যর্থনা জানিয়েছিল, “এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার” এবং তারা আমাকে সাহায্য করতে পারবে না।’