যৌন হেনস্তার অভিযোগে ইতিমধ্যে নাম এসেছে অভিনেতা নানা পাটেকর ও পরিচালক বিকাশ বহেলসহ আরও দুই পরিচালকের। সম্প্রতি নাম উঠেছে কণ্ঠশিল্পী কৈলাশ খেরেরও। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন একজন ফটো সাংবাদিক। বলেছেন, ২০০৬ সালে সাক্ষাতকার নিতে গেলে কৈলাশ তাকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন।
সেই তালিকায় এবার নাম এলো বলিউডের বর্ষীয়ান পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের। তবে এক ধাপ এগিয়ে ৭৩ বছর বয়সী এ পরিচালকের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী। তার অভিযোগ, মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন সুভাষ ঘাই। এমন অভিযোগের কথা নিজের টুইটারে জানিয়েছেন ওই নারী।
আড়ালে থাকা ওই নারীর টুইটারের সেই পোস্টটি আবার শেয়ার করেছেন মাহিমা কুকরেজা নামের আরেক নারী। যিনি গত সপ্তাহে কৌতুক অভিনেতা উৎসব চক্রবর্তীর নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন। কুকরেজা টুইট করে জানান, ঘাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী নারী বলিউডেরই একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। যিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চান।
কুকরেজা আরও জানান, কয়েক বছর আগে একটি ছবিতে কাজ করার সূত্রে পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারীর পরিচয় হয়েছিল। সেই সূত্রে প্রায়ই বিভিন্ন ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা করতে ওই নারীকে পরিচালক সুভাষ তার বাড়িতে ডেকে পাঠাতেন। কাজের খাতিরেই সেই ডাকে সাড়া দিতেন ওই নারী।
ঘাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একবার জোর করে ওই নারীকে চুম্বন করেন তিনি। পরের দিন বিষয়টিতে প্রেমের অভিব্যক্তি হিসেবে লঘু করার চেষ্টা করেন। কুকরেজার মাধ্যমে ওই নারী জানান, বিষয়টি তিনি ঘাইয়ের সহকারী পরিচালক ও অন্য দুই নারীকে জানান। কিন্তু আর্থিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে সে সময় কোনো কড়া পদক্ষেপ তিনি নিতে পারেননি।
পর্দার আড়ালে থাকা ওই নারীর আরও অভিযোগ, একদিন সন্ধ্যায় একটি গানের অনুষ্ঠান শেষে সুভাষ তাকে নিজের গাড়িতে করে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যান। সে সময় গাড়ির মধ্যে তিনি মদ্যপান করেন এবং তাকেও মদ পরিবেশন করেন। সেই মদের মধ্যে পরিচালক ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন বলে ওই নারীর দাবি। পরে হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন বলেও দাবি করেন।
তবে যথারীতি এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন পরিচালক সুভাষ ঘাইও। তিনি বলেন, পরিচিত কারো নামে কুৎনা রটানো বর্তমানে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অতীতের ঘটনাগুলোকে মিথ্যার রঙ চড়িয়ে ভুয়া অভিযোগ আনা হচ্ছে। এ ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগকে আমি দৃঢ় ও স্পষ্টভাবে অস্বীকার করছি।
সুভাষের দাবি, কাজে ও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সব সময়ই নারীদের সম্মান দিয়ে চলেন। তার কথায়, এমন অভিযোগ থাকলে ওই নারীর উচিত আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ সহযোগে মামলা করা। তিনি নিশ্চিত ভাবেই সুবিচার পাবেন এবং আমার ভাবমূর্তিও নষ্ট হবে। কিন্তু পর্দার আড়ালে থেকে এভাবে কারো নামে কুৎসা রটানো উচিত না।