শিগগিরই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা ও আন্দোলনের ঘোষণা : মওদুদ

ডেস্ক রিপোর্ট

মওদুদ আহমেদ
মওদুদ আহমেদ। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ মনে করেছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ব্যাহত হবে। কিন্তু এ রায়কে অগ্রাহ্য করে আমরা অতি শিগগিরই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা এবং আন্দোলনের কাঠামো ঘোষণা করব। যে যত কথাই বলুক না কেন, সরকার বাধ্য হবে সংলাপে বসতে- বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মওদুদ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জিয়া পরিষদ নামের একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একটাই পথ আছে এখন, সেটা হলো রাজপথ। রাজপথ ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। এখন আপনারা প্রস্তুতি নেন, সময় এসে গেছে। মাঠে নেমে এ দাবি আদায় করতে হবে।

মওদুদ বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনায় আমরা খুব মর্মাহত। এ ধরনের ঘটনা আর যেন বাংলাদেশের মাটিতে না ঘটে সেটাই আমরা কামনা করি। এ ধরনের ঘটনাকে ঘৃণা করি আমরা। এ মামলায় যিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না তাকে আজকে জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় সরকার। প্রথম চার্জশিটে তার (তারেক রহমানের) নাম ছিল না। মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিমূলক যে বক্তব্য দিয়েছিল সেখানে তার নাম ছিল না। এফবিআইয়ের রিপোর্টে ছিল না, ইন্টারপোলের রিপোর্টে ছিল না। এ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর একটা বিতর্কিত ব্যক্তিকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করে। অত্যাচার করে মুফতি হান্নানের কাছ থেকে জোর করে তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করিয়েছিল। মুফতি হান্নান আদালতে বলেছে, তার কাছ থেকে জোর করে তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করানো হয়েছে। সে তারেক রহমানকে চেনেও না। কোনো দিন সাক্ষাৎ পায়নি তার।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনকে খুশি করছে। এমনকি যারা অবসরে গেছে এবং পেনশনের টাকা নিয়ে নিয়েছে তাদেরকেও আবার নতুন করে পেনশন দিচ্ছে। এতে যদি কিছু ভোট তারা পায়! এ ভোট পাওয়ার জন্য কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়ে দিল। এই ভোট পাওয়ার জন্য প্রত্যেকদিন তারা প্রকল্প উদ্বোধন করছে। এগুলো হলো নির্বাচনী প্রকল্প, দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য করছে। কিন্তু এদের ৮০ ভাগও যদি ভোট দিতে যায়, তবে তারা যে তাদের ভোট দেবে না এটা আওয়ামী লীগ জানে না।

মওদুদ আরও বলেন, এ বেইআইনি রায় দিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের কথা বলছে। কেন তারেক রহমান পদত্যাগ করবেন। এ রায়টাই তো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। যে রায়টি আমরা গ্রহণ করিনি, যে রায়কে আমরা নিরপেক্ষ মনে করি না। আমরা যাকে নেতা মনে করি, তাকেই নেতা মনে করব।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে