শেষ মুহূর্তে স্থগিত হলো জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট

বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষ নেতারা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে নিজেদের অভিন্ন দাবি দাওয়া এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ফের বৈঠকে বসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টায় এ বৈঠকটি প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফেরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তিনি অসুস্থ থাকায় তা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় স্থানান্তর করা হয়। রাত ৯টায় আ স ম আবদুর রবের বাসায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে তা স্থগিত করা হয়।

দু’দফায় স্থান নির্ধারণ করেও শেষ মুহূর্তে এসে কেন বৈঠকটি স্থগিত করা হলো সে বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা কিছু বলতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় তিন পক্ষের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তিনি অসুস্থ থাকায় এটি রাত ৯টায় আ স ম আবদুর রবের বাসায় স্থানান্তর করা হয়। পরে এই বৈঠকটি স্থগিত করা হয়।

কেন স্থগিত করা হলো- এর উত্তরে তিনি বলেন, এত কিছু বলতে পারব না। শুধু এটুকু জানি বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে আবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দিন-তারিখ-স্থান ঠিক হলে তখন মিডিয়াকে জানানো হবে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তফ্রন্টের এক নেতা বলেন, আ স ম আবদুর রবের বাসায় বৈঠকে বসার আগে বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের কাছে খবর আসে যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালনকারী বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাসভবন পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, কী ঘটতে যাচ্ছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভাগ্যে- তা বোঝার জন্য শেষ মুহূর্তে এসে তিন পক্ষের নেতারা বৈঠকটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র মতে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে যাওয়ার আগে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন, আসন ভাগাভাগি ও নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা করতে চান যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।

এ লক্ষ্যে তিন পক্ষ আলাদা আলাদাভাবে দাবি এবং লক্ষগুলোর একটি প্রাথমিক খসড়াও তৈরি করে। এখন এসব দাবি-দাওয়া এবং লক্ষ্যগুলো সমন্বয় করার কাজ চলছে। প্রাথমিকভবে সাত দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্য ঠিক হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই আন্দোলনে নামবে বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। এছাড়াও তিনপক্ষ মিলে যে জোট হচ্ছে, সেই জোটের নাম কী হবে, সেটাও চূড়ান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু বৈঠক বাতিল হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে গেল নতুন করে।

এছাড়া বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট-ঐক্যজোটের নেতাদের মধ্যেও মতের অমিল এবং সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলেও দাবি করেছে একাধিক সূত্র।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে