কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ইবোলা ভাইরাস ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় কঙ্গোর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভেতর যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে সেটি দমানোর জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে কাজ করা স্বাস্থ্য কর্মীদের। খবর আল জাজিরার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার প্রকাশিত তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, কঙ্গোতে ১ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের শরীরে ইবোলা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে ১৬৫ জনের শরীরে ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বাকি ৩৫ জনের শরীরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ শান্তি মিশনের মুখপাত্র লেইলা জেররোগুই জানায়, ইবোলা আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন জাতিসংঘের কর্মীও রয়েছে।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে কঙ্গোতে বিশেষ করে উগান্ডা সীমান্তবর্তী বেনি শহরে প্রকট ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ইবোলা। সম্প্রতি কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে সবচেয়ে বেশি ইবোলা ছড়ানো বেনি শহরে ইবোলা ঠেকাতে জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। তবে সেখানে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর্মী স্থানীয় মানুষদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। ইবোলা সম্পর্কে মানুষের ভয় এবং ভুল ধারনাই জনগণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জাসেরিভিক সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ইবোলা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি একটি অন্যতম কারণ এর ফলেই আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষদের আক্রান্ত হতে দেখছি । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কঙ্গোতে এইবারের ইবোলা সংক্রমণ ৩ থেকে ৪ মাস ধরে চলতে পারে।
উল্লেখ্য, মধ্য আফ্রিকার উত্তরাংশে কঙ্গোর উপত্যকায় প্রবাহিত ইবোলা নদী থেকে ইবোলাভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে। সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।