ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তিনি একটি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত ৮ অক্টোবর ভারতের দুই নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এরপর তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী মণিকা গান্ধি এ ঘটনায় তদন্ত করার কথা বলেন। এছাড়াও দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস যৌন হয়রানির অভিযোগে আকবরের পদত্যাগ দাবি করেন।
আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা ওই দুই নারী সাংবাদিকের একজন প্রিয়া রামানি। প্রায় এক বছর আগে ভোগ ম্যাগাজিনের ভারত সংস্করণে প্রকাশিত প্রবন্ধে তিনি এই যৌন নির্যাতনের কথা বলেছিলেন।
টুইট বার্তায় প্রিয়া রামানি বলেন, ‘সেই ঘটনার জন্য দায়ী এম জে আকবর।’
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন, যাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী আকবর সম্পাদক থাকাকালীন তারা যৌন হেনস্তার শিকার হন।
সম্প্রতি ভারতে একের পর এক নারী সাংবাদিক তাদের সাবেক সম্পাদক, ব্যুরো চিফ বা ঊর্ধ্বতন বসের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অজস্র অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সামনে আনতে শুরু করেছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন, কোথাও আবার সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠান অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তারপরও প্রভাবশালী এই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদৌ শাস্তির আওতায় আনা যাবে কি-না, পর্যবেক্ষকেরা তা নিয়ে সন্দিহান।
উল্লেখ্য, এক বছর ধরে সফল মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যা ‘#মি টু’ (#MeToo) নামে পরিচিত। তারই রেশ ধরে ভারতেও শুরু হয়েছে এক ‘আন্দোলন’।