সড়ক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত কমিটি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার ৪৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে চালকদের ট্রিপ ভিত্তিক গণপরিবহন চালানোর বিষয়টি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া, মাসিক ভিত্তিতে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কমিটি ১৮ দফা সুপারিশ পেশ করেছে।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মাঝে পড়ে কীভাবে রাজিব হাত হারিয়েছেন সেই বিষয়টি এতে তুলে ধরা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী তা চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের ওই চালকদের ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার জন্য স্বজন পরিবহনের চালককে দায়ী করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ সোমবার এই প্রতিবেদনের ওপর আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ, গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব হাসানের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। গত ৮ মে হাইকোর্ট এক আদেশে রাজিবের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন। পরে আপিল বিভাগ ওই আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টকে দুর্ঘটনার দায় নিরূপনে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সিভিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।
কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থল, জব্দকৃত বাস, ভিকটিমের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। এই প্রতিবেদন হাইকোর্টে গতকাল রোববার দাখিল করা হয়।