বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি বের হওয়ার ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে মন্তব্য করেছেন জোট সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সাংবাদিকদের গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, কেন যে গেলো বুঝলাম না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাগ ক্ষোভ হতেই পারে। আমরা যখন মূল্যায়ন করতে পারিনি। আমাদের চেয়ে ভালো মূল্যায়ন পেলে যাবে যাক। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আশা করি তাদের ভুল ভাঙবে। আবার জোটে ফিরে আসবে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক এবং আব্দুস সালামও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আমাদের ২০ দলীয় জোটের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। যার কারণে ২০ দলীয় জোট অটুট আছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে বিগত দিনে এদের কোনো ভূমিকা ছিলো না। ওই রকম চোখে পড়ার মতো কিছু করে নাই। আমি মনে করি তারা ভুল করছে। তাদের উচিত ছিল এই জোটে থাকা। তারা যে ক্ষোভের কথা বলেছে, পাওয়া না পাওয়ার কথা বলেছে এগুলো হাস্যকর বিষয়। মূলত তারা সরকারের প্ররোচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বিপথগামী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি বলেন, এটা ন্যাপ-এনডিপির সিদ্ধান্ত। বিএনপি বড় ভাই সুলভ আচরণ করতে চায়, কিন্তু আমরা আবার ধমক দিয়ে আমাদের অবস্থান করে নেই। মূল্যায়ন নিজেদের করে নিতে হয়।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম বলেন, আমরা তো আসনবণ্টন, অগণতান্ত্রিক ঐক্যের বিষয়ে প্রকাশ্যেই আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। এনডিপি-ন্যাপ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের কিছু হলে আমরাও আমাদের অবস্থান জানাবো। তবে আমি মনে করি জোটের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা নিরসন করা উচিত।
তবে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ কাদের বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না, তারা থাকলেও যা, না থাকলেও তা।