আগামীকাল শুক্রবার দেশের ২৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে অনম বিশ্বাস পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘দেবী’। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত, জয়া আহসানের ‘সি-তে সিনেমা’ প্রযোজিত, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি প্রচার-প্রচারণার দিক দিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বুধবার রাত ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনের পর্দায় দর্শকরা মাছরাঙা সংবাদ দেখার জন্য বসলে হঠাৎ করেই দেখা যায় সংবাদ পাঠকের আসনে বসে আছেন খোদ ‘মিসির আলি’ চঞ্চল চৌধুরী এবং ‘রানু’ জয়া আহসান। রাত ১০টার মাছরাঙা সংবাদের পুরোটা সময় খুব সাবলীলভাবে পেশাদার সংবাদ পাঠকের মতোই তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।
জানা যায়, মাছরাঙা টেলিভিশন যেহেতু ‘দেবী’ চলচ্চিত্রের সম্প্রচার সহযোগী, এ কারণে দর্শকদের নতুন চমক দেখানোর জন্যই সরাসরি সংবাদ পরিবেশন করেন জয়া আহসান ও চঞ্চল চৌধুরী।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, সংবাদপাঠের পরিকল্পনাটি বেশ অভিনব। কারণ চলচ্চিত্র প্রচারণার জন্য প্রচলিত মাধ্যমগুলোর পাশাপাশি সংবাদ পাঠের বিষয়টি আমার নিজেরও কখনো মাথায় আসেনি। সংবাদকর্মীরা দায়িত্বশীলতার সাথে জনগণের জন্য প্রতিনিয়ত সংবাদ তৈরি করেন, সংবাদ পাঠকরাও সে দায়িত্ব থেকে নিজেদের আসনে বসে ক্যামেরায় চোখ রেখে সংবাদ পড়েন। এতদিন বিষয়গুলো দেখে এসেছি, এবার স্বশরীরে অনুধাবন করলাম। এই অভিজ্ঞতা কখনো ভুলবার নয়। মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগকে এ কারণে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ।
এ প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, আমাদের মার্কেটিং কনসালটেন্টের পরিকল্পনা অনুযায়ীই আমরা সবাই মিলে সংবাদপাঠের বিষয়টি চূড়ান্ত করি। মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগের দল বেশ গোছানো। আমাকে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তাই করতে হয়নি। তাছাড়া বরাবরই আমি বিশ্বাস করে এসেছি সংবাদকক্ষের এ জায়গাটি বেশ সম্মানের, বেশ পবিত্র। তাই যেনতেনভাবে সংবাদ পড়তে চাইনি। যথেষ্ট মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই নিউজরুমে গিয়েছি। সবার আশীর্বাদ আমার সাথে ছিল, তাই ভালোভাবেই হয়তো উতরে যেতে পেরেছি। এখন ভাবছি, যখন কেউ আর আমার অভিনয় দেখতে চাইবে না, তখন সংবাদ পাঠ করে নতুন পেশায় যোগ দেবো। হা হা হা…।