সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ১৪ দল। জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের কথা জাফরুল্লাহ স্বীকারও করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ নেই।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জোটের অবস্থান জানান জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বুদ্ধিজীবী নামধারী ব্যক্তি। আমরা শুনেছি, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে তার আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। তিনি কতদিন আগে দেশপ্রেমিক সেনা প্রধানের নামে জঘন্য মিথ্যচার করেছেন। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে। তিনি নিজেও একথা স্বীকার করেছেন তিনি অসত্য কথা বলেছেন। ১৪ দল দাবি করে এ ধরনের ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর একটি বেসরকাটি টেলিভিশনের টক শোতে জাফরুল্লাহ একুশে আগস্টের হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডের উৎস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দাবি করেন ২০০৪ সালে আজিজ আহমেদ চট্টগ্রামের জিওসি থাকাকালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খোয়া যায়। এ নিয়ে পরে কোর্ট মার্শাল হয় তার।
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেনাবাহিনী জানায়, আজিজ আহমেদ কখনও চট্টগ্রামের জিওসি ছিলেন না, আর তিনি তার চাকরি জীবনে কখনও কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হননি।
পরে জাফরুল্লাহ তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে তিনি দাবি করেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল না হলেও কোর্ট অব ইনকোয়ারি হয়েছিল।
পরে সেনাবাহিনী থেকে এই তথ্যকেও অসত্য বলে জানানো হয়। আর জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয় সেনা সদরদপ্তরের পক্ষ থেকে। তার এই বক্তব্যের পেছনে কারা, সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয় এই ডায়েরিতে। পরে এই সাধারণ ডায়েরিটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
মো. নাসিম বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশুভ চক্রান্ত করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এই জোট নতুন কিছু সঙ্গী জোগাড় করে ঐক্যের নামে নির্বাচনের বিরুদ্ধে একটি অশুভ চক্রান্ত শুরু করেছে।
বিএনপির দাবি নিয়ে ভাবার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, যে দাবি অসাংবিধানিক, যে দাবির কোনো যুক্তি নাই। সে দাবি ভাববার কোন সুযোগই নাই। সে দাবি নিয়ে তারা আবার মাঠে নামার চেষ্টা করছে।