জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো ভবিষ্যৎ নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রাজনীতির সব জিরো মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছেন। সব জিরো একসাথে মিললে ফল জিরোই হয়, আর কিছু হয় না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরীতে জালালাবাদ গ্যাসের নবনির্বাচিত সিবিএ কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মুহিত বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং তারা যদি সমর্থন দেন তবে হয়তো তাদের একটি উপায় হবে। অন্যথায় তারা যে ঐক্য প্রক্রিয়া করছেন তা জিরো।
পরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত সিলেট বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সিভিল সার্জন কার্যালয় ভবনের ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অর্থমন্ত্রী বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে সিভিল সার্জন অফিসসহ ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়া কানাইঘাট উপজেলা কমপ্লেক্স, জকিগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স এবং বিশ্বনাথ উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এর মধ্যে সিলেট সিভিল সার্জন অফিস ৭ তলা ভিত্তির ওপর ৬ তলা ভবন, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ এবং বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫ তলা ভিত্তির ওপর ৩ তলা ভবনের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী।
এ সময় তিনি জানান, কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে ১৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৮৩ হাজার, জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে ৬ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৪ হাজার, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে ১১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সোহরাওয়ার্দী, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা, হিমাংশু লাল রায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম হাসান উজ জামান, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় অফিস সহকারী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এম. গৌছ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।