সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের পর এবার শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চাইলেন। বৈঠকে তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন সৌদি বাদশাহ। খবর বাসসের।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে রিয়াদে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি বাদশার বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সৌদি বাদশার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তাহলে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং সকল ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সৌদি বাদশাহ তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথা উচ্চারণ করেন।
সচিব বলেন, বৈঠকটি উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদশাহ নিজে রাজপ্রসাদের প্রবেশ দ্বারে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বাদশা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, এটি আপনার ঘর এবং আপনাকে সবসময় এখানে স্বাগতম।
বাদশাহ বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ দু’টি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং ধর্মের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন বিষয়ে একই বন্ধনে বাঁধা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাদশার আথিয়েতার জন্য ধন্যবাদ জানালে সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বলেন, এটা তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে এবং উল্লেখ করেন যে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদারের সুযোগ রয়েছে।
বাদশাহ সালমান বলেন, আমরা যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছি।এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এটা অব্যাহত থাকবে এবং এটি দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের জনগণের অভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তাব করলে বাদশাহ প্রস্তাবগুলো যথাযথ বলে অভিহিত করেন।
বাদশাহ বলেন, আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে আলোচনার পর এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করছে উল্লেখ করে এ ক্ষেত্রে তাদের দেখাশোনা করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সৌদি বাদশাহ সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা সৌদি অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে উল্লেখ করে বলেন, তাদের দেখভাল করা আমার দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাদশাহ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং ‘আমরা এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে সম্পন্ন করব বলে জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাদশা ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশ সবসময় মুসলিম উম্মার প্রশ্নে লড়াই করে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে।
বাদশাহ আরও বলেন, এ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় সম্মানজনক এবং এজন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
সূত্র : বাসস