জাতীয় ঈদগাহে আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা

ডেস্ক রিপোর্ট

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ আজ সারাদিন এই হাসপাতালেই থাকবে। বিকেল চারটায় সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে। শুক্রবার জানাজা শেষে মরদেহ চট্টগ্রামে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। শনিবার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হবে।’

ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি এই শিল্পী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। আইয়ুব বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তার হার্টের কার্যক্ষমতা ছিলো ৩০ শতাংশ। সর্বশেষ তিনি গত সপ্তাহে স্কয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন এলআরবি ব্যান্ডের জনপ্রিয় এই ভোকাল। সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন আইয়ুব বাচ্চু। শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি নামেও পরিচিত তিনি। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান ও লোকগীতি দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি।

১৯৯১ সালে তার নেতৃত্বে জন্ম নেয় ‘এলআরবি’ ব্যান্ড। দলটির লিড গিটারিস্ট ও ভোকালও তিনি। এর আগে তিনি প্রায় দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

গিটারে সারা ভারতীয় উপমহাদেশে আইয়ুব বাচ্চু বিখ্যাত। জিমি হেন্ড্রিক্স এবং জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় তিনি দারুনভাবে অণুপ্রাণিত। আইয়ুব বাচ্চুর নিজের একটি স্টুডিও আছে। ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত এই মিউজিক স্টুডিওটির নাম এবি কিচেন। ২০১০ সালে ঈদের জন্য নির্মিত ‘ট্রাফিক সিগন্যাল’ ও ‘হলুদ বাতি’ শিরোনামের দুটি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।

প্রসঙ্গত, অক্টোবরের ১৬ তারিখেও রংপুরে একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে