বিকল্পধারা এবং সদ্য ২০ দলীয় জোট ছেড়ে আসা বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপির সমন্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে যুক্তফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি. চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর তার বারিধারার বাসভবনে এই দুই দলের চেয়ারম্যান তাদের দলের নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকটি বিকেল সাড়ে চারটায় বৈঠকটি শুরু হয়ে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্য্ন্ত চলে।
এ বিষয়ে জেবেল রহমান গানি সাংবাদিকদের জানান, আমরা সাবেক রাষ্ট্রপতিকে অভিভাবক হিসেবে মনে করি এবং আগামী দিনে গণতান্ত্রিক ধরাবাহিকতা রক্ষা এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে তার নেতৃত্বে একসঙ্গে পথ চলবো। আমরা ২০ দলীয় জোট রাজনীতির সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে এসে বি. চৌধুরীরর সঙ্গে মিলিত হলাম। আমাদের মনের মিল ও রাজনৈতিক মিল আছে। অতীতে তার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, আমরা তার নিন্দা করি। আমাদের এই তিন দল দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।
এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহৎ ঐক্য গড়ার জন্য যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি. চৌধুরীর কাছে এসেছি।
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি.চৌধুরী বলেন, বৈঠকে বিকল্পধারা,বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি মিলে যুক্তফ্রন্টকে সম্প্রসারিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গয়েছে। তিন দলের ওয়ার্কিং কমিটির মধ্যে যৌথসভা করে যুক্তফ্রন্ট তরুণ নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে।
বি.চৌধুরীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈশা, বাংলাদেশ ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদ্স্য মনির এনায়েত মল্লিক, ব্যারিস্টার মশিউর রহমান,ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নূরুল আমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর সভাপতি শহীদুন নবী ডাবলু সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম।
এছাড়াও বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রউফ মান্নান, সহসভাপতি মাহবুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ন্যাপ ও এনডিপি ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন আলোচনা, বৈঠক করে শেষ পর্যন্ত বিকল্পধারা ছাড়াই গত ১৩ অক্টোবর বিএনপি, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়।