ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে সৌদি আরব।
শুক্রবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাংবাদিক জামাল খাশোগি কনস্যুলেটে লড়াইয়ের পর নিহত হন।এর মাধ্যমে এই প্রথমবারের মতো খাশোগিকে হত্যার কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করলো সৌদি আরব।
রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, এ ঘটনায় উপপ্রধান গোয়েন্দা আহমদ আল-আসিরি ও যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৌদ আল-কাহতানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর সৌদির রাষ্ট্রীয় টিভি খাশোগি নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) শনিবার জানায়, সৌদি তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তে কনস্যুলেটে লড়াইয়ের পর সাংবাদিক খাশোগি নিহত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এসপিএ তাদের প্রতিবেদনে বলে, খাশোগি ও তিনি কনস্যুলেটের ভেতরে যাদের দেখা পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। যেটা ঘুষাঘুষির পর্যায়ে যায় এবং চূড়ান্তভাবে খাশোগি নিহত হন।
এসপিএর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তদন্ত এখনো চলছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে খাশোগির লাশ কোথায় রাখা হয়েছে কিংবা লাশের সঙ্গে কী করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি সৌদি আরব।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক গোলটেবিল বৈঠকে বলেন, যা ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য। তবে সৌদি আরব আমাদের খুব বড় মৈত্রী।
তিনি বলেন, এ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ।
খাশোগি হত্যায় খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে ট্রাম্প সৌদি আরবের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, সৌদি আরবের ওপর অবরোধ আরোপ হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ গোয়েন্দা বিভাগ ঢেলে সাজানোর জন্য একটি মন্ত্রিপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমানকে।
তথ্য : বিবিসি