এখন আর সংলাপের প্রয়োজন নেই : ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন- নভেম্বরের ফার্স্ট উইকে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তাহলে এখন আর ১০/১২ দিনের মধ্যে কে কার সঙ্গে সংলাপ করবে? দেশে সংলাপ করার মতো এমন কোনো পরিবেশ নেই, প্রয়োজনীয়তাও নেই।

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে তারা প্রথমেই বিদেশিদের কাছে গিয়েছে, দেশের জনগণের কাছে তো যায়নি। দেশের জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই।

নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের শঙ্কা প্রকাশ ও সম্মিলিত জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা সম্পর্কে কাদের বলেন, এরশাদ সাহেব তো পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে বক্তব্য রাখতে পারেন। উনি তো সংসদে বিরোধীদলে আছেন, বিরোধীদলের পক্ষ থেকে যে কোনো বক্তব্য উনি দিতেই পারেন। উনি তো আর ওনার পার্টিকে আওয়ামী লীগে দিয়ে দেননি। এরশাদ সাহেব আমাদের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন। আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।

বিকল্পধারা ভাঙন ও বিএনপি ভাঙতে পারে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভাঙনের প্রক্রিয়ায় আমাদের অংশ নেয়ার কিছু নেই। অন্য দল যদি ভাঙে তাহলে তারা নিজেরাই নিজেদের দল ভাঙবে। সেখানে আমাদের তো কোনো হাত নেই।

কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যারা গত দশ বছরে আন্দোলন করতে পারে নাই, শুরুর আগেই তাদের দুই উইকেট পড়ে গেছে। আরও কত উইকেট পড়বে তা সময় বলে দেবে।

তিনি বলেন, একটি টেলিভিশন টকশোতে প্রখ্যাত নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে এক-এগারোর কুশিলব, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন যে অশালীন, অশোভন আচরণ করেছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা নারী সাংবাদিকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুনন্নাহায লাইলী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুনন্নাহার চাপা, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিরুল ইসলাম মিলন, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে