ড. কামাল বিএনপিকে পার করার ভার নিয়েছেন : তোফায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মনে করেন বিএনপির এই দুঃসময়ে বিএনপিকে পার করার ভার নিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। কিন্তু ড. কামালের কী সামর্থ্য আছে তা আওয়ামী লীগের ভালো করে জানা আছে। কারণ, ড. কামাল এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন। একবার তাকে বঙ্গবন্ধুর আসন ছেড়ে দেওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেলেও পরে আরও দুই বার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েও ভোটের রাজনীতিতে জয় তুলতে পারেননি।

শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘শো-কেস কোরিয়া’ শীর্ষক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, বিএনপির একটা দুঃসময় যাচ্ছে। ড. কামাল হোসেন দায়িত্ব নিয়েছেন এটা থেকে দলটিকে উদ্ধার করার। ড. কামাল হোসেনের কী সামর্থ্য আছে এটা আমাদের চেয়ে কেউ ভালো জানে না। আমরা সব জানি। আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে তাকে বিজয়ী করে সংসদ সদস্য করার, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল তাকে মনোনয়ন দেওয়ার, ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে, তিনি পরাজিত হয়েছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কুশীলবের ফাঁসির হুকুম হয়েছে। তারেক জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু নীতিবান লোক যারা নীতির কথা বলেন তারা যুক্ত হয়েছেন। গণতন্ত্র মানে কি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা? গণতন্ত্র মানে কি ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য মায়ের কোল খালি করা, পেট্রোল বোমা মারা? এ কাজে যুক্ত হয়েছে কিছু লোক। দুর্ভাগ্যজনক হলেও তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।

তোফায়েল জানান, যে যত দাবিই তুলুক না কেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তারিখেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) দুই দিনের এ মেলার আয়োজন করে। কোরীয় প্রসাধনী, তৈরি পোশাক শিল্পের সরঞ্জাম, গাড়ির যন্ত্রাংশ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য স্থান পেয়েছে মেলায়।

কোরিয়ার ব্যবসায়ীদেরকে এই দেশে বেশি বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার অন্তত ৩০০ কোম্পানি ব্যবসায়িক কাজে যুক্ত আছে। ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। কারণ, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। সামাজিক ও অর্থনীতির অগ্রগতির সুচকে প্রতিবেশি ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশ এগিয়ে। সৌদি বাদশাহ সালমানও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করেছেন। একটি সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে অর্থনৈতিক উন্নতি যে কত ত্বরান্বিত হয় তিনি সেটাই বলতে চেয়েছেন।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং-ইল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে