মহিবুর রহিম এর একগুচ্ছ কবিতা

মহিবুর রহিম নব্বই দশকের একজন কবি। তার জন্ম ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুয়ারি। লেখালেখিও শুরু করেন সেই স্কুল জীবন থেকেই। মূলত বইপড়া আন্দোলনের মাধ্যমে তার সাহিত্য জগতে প্রবেশ। ১৯৮২ সালে নিজ গ্রামে তিনি বই পড়া আন্দোলন শুরু করেন এবং স্থানীয়ভাবে একটি পাঠাগার গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হান্নান গ্রন্থ সুহৃদ সমিতি গঠন করেন ও দীর্ঘদিন এ আন্দোলন চালিয়ে যান। এ সময়ে রেডিও বাংলাদেশে প্রচারিত ও ড. রাজিব হুমায়ুন উপস্থাপিত ‘কথাকলি’ অনুষ্ঠানে মহিবুর রহিমের কবিতা পঠিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে দেশের শীর্ষস্থানীয় সাহিত্য সংকলনে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমী তরুণ লেখক প্রকল্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ সময় থেকে রচিত হয় তার ‘অতিরিক্ত চোখ’, ‘হে অন্ধ তামস’, ‘অনাবাদি কবিতা’, ‘পলি মাটির অন্তর’,‘দু:খগুলো অনাদির বীজপত্র’,মিলেনিয়াম শব্দজট’,‘সবুজ শ্যামল মন’,‘শিমুল রোদে রঙিন দিন’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ। কবি শামসুর রাহমান ,আল মাহমুদ, আব্দুল মান্নান সৈয়দ,ড. রাজিব হুমায়ুন, কবি সমুদ্র গুপ্ত, আশুতোষ ভৌমিক, মানিক মাহমুদ,প্রফেসর ড. কামরুল আহসান,ড. ফজলুল হক সৈকত, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, তৌফিক জহুর, নাজমা মমতাজ, কবি মিলি চৌধুরী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম জীবন, ড. রিটা আশরাফ ও ড. ফজলুল হক তুহিনসহ গুরুত্বপূর্ণ লেখক এবং আলোচকগণ মহিবুর রহিমের কবিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। নব্বই দশকের প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্য সংকলনগুলোতে তার লেখা অর্ন্তভুক্ত হয়। সম্প্রতি তার আরও ৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘সবুজ শ্যামল মন’,‘শিমুল রোদে রঙিন দিন’ ও‘ হৃদয়ে আমার কোন মন্দা নেই’।

মৌলিক সাহিত্যচর্চা ছাড়াও মহিবুর রহিম লোকসাহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক সমীক্ষা গ্রন্থমালায়’ তার লেখাগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়। জাতীয় লোকসঙ্গীত সম্মেলনে তিনি ন্যাশনাল অর্গানাইজিং কমিটির অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। মহিবুর রহিম কুমিল্লা অঞ্চলের লোকসঙ্গীত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকসাহিত্য, ভাটি বাংলার লোকসাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করছেন। বাংলা একাডেমির ‘ লোকজসংস্কৃতির বিকাশ কর্মসূচির’ আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকসাহিত্য’ বিষয়ে কাজ করেছেন যা সম্প্রতি ৪৮০ পৃষ্ঠার বই আকারে বাংলা একাডেমি থেকে বের হয়েছে। লোকসাহিত্য গবেষণার জন্যে মহিবুর রহিম ‘প্রজ্ঞা’ শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি পদক ও স্মৃতি’৫২ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে ‘রকি সাহিত্য পদক ২০১১’, ‘মেঠোপথ সাহিত্য পদক-২০১৩’,‘শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহিত্য পদক-২০১৪’, ‘সুকুমার রায় সাহিত্য পদক ও সম্মাননা ২০১৮’ লাভ করেছেন। পেশাগত জীবনে মহিবুর রহিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক।

universel cardiac hospital

কালো বিড়ালের চোখে

রাতগুলো চেয়ে থাকে কালো বিড়ালের চোখে
যান্ত্রিকতা খুঁটে খায় আদি সব মাছের কঙ্কাল
পুরনো ভাগাড় যেন শূন্যতায় ভরেছে এখন
আর সব বিড়ালেরা কবেকার মৃত ইতিহাস

অনেক জিজ্ঞাসা আছে ব্যক্তিগত চেতনার গভীর আঁধারে
অনেক ব্যর্থতা আছে ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতার কাছে
সময়ের কর্মসূচি ওই সব দৃশ্যকে বুনেছে
দৃষ্টিভঙ্গি দ্বিধালিপ্ত চলমান শিল্পকর্মে।

সময়

মনে হয় সময় ক্রমাগত ভাবেই যায়
আমাদের নিঃসঙ্গ শিথানে
কিছু কিছু দুঃখবোধ
রাত্রিকেও প্রজ্জ্বোলিত করে

যে রাত্রি গাঢ় অনুভূতির রঙ নিয়ে বাঁচে
যে রাত্রি মিশে থাকে আকাক্সক্ষার নির্জন চাদরে
হাহাকার ঝড়ো হাওয়া ডালপালা অগ্নিসত্ত্বা
ছিন্ন ভিন্ন করে
তখনও সময় ক্রমাগত ভাবে যায়

কিছু কিছু চোখ পলকের মূল্য নিয়ে ভাবে
অনশ্বর ফুল হয়ে উঠার আগ্রহ নিয়ে ভাবে
এই ভাবনাগুলো কখনো কখনো নিজস্ব সত্ত্বাও পায়

আবার বিস্মৃতি আসে
ভেঙে পড়ে প্রতিকৃতি নির্জনের আরাধ্য বিশ্বাস
সংক্রান্তির ঝরাপাতা পড়ে থাকে চৈতন্যের বিপন্ন রাস্তায়।

অফুরন্ত রৌদ্রের পাত্রগুলো

হে শুভার্থী , তোমার রৌদ্রের অফুরন্ত পাত্রগুলো খুলে দাও
আবহমান মানুষেরা নিয়ে যাক আলো
ধ্বনিগুলো প্রতিধ্বনি হোক অন্তরে অন্তরে
মৃত্যুর গোঙ্গানির মতো যতো অন্ধকার
টানপড়া নদীর বুকের মতো স্থবিরতা
শুকনো পাতার স্তুপে শুয়ে থাকা মান্ধাতা

দূর হোক বাউলী বাতাসে।

রাত্রিকে আচ্ছন্ন করে আছে নদীর কান্না
পাখিদের কফিনে যন্ত্রযুগ
উদ্ভিদের বোবা চোখে মৃত্যুর ফ্যাশন
নাগরিক বাতাসের পাখনায় ভার হয়ে আছে
ধুলোবালি সিসার শিশির
অজন্তার মনে আজ মরে গেছে নদী
ওর নীরব চুলের অন্ধকারে শ্মশানের বিষণœ আঁধার

কে আজ প্রশ্নের পতাকা উড়াবে ?

রাস্তাও দিকভ্রান্ত কালচক্র জটার জটিলে
রাত্রি শুধু দ্বিধা হয়ে আছে নিজের নির্জনে
এরই মাঝে কত ক্লেদ, যান্ত্রিক সিস্ফনি
মহুয়ার ধর্ষিতা শাড়ি কাদাজলে ধিক্কার তোলে

হে শুভার্থী ! তিষ্ট ক্ষণকাল দাঁড়াও এ শ্ম্শান চত্বরে

রক্তের আস্তিন খুলে আনো সেই পৌরুষ রৌদ্রকে
অফুরন্ত পাত্রগুলো খুলে দাও
আবহমান মানুষেরা নিয়ে যাক আলো ॥

ভালবাসি মেঘ

মেঘেদের সাথে কথা হয়েছিল একদিন
একথা শুনে ভ্রু কুঁচকে ছিল আমার বিশ্বস্ত প্রতিবেশী
তুমি শুধু হেসেছিলে শুভ্রতায় আচ্ছাদিত
অবিকল সত্যের মতন হাসি
মনে হয় সেই থেকে আমি মেঘ ভালবাসি।

আকাঙ্ক্ষার বৃষ্টিপাতে

আশার শিয়রে হাত স্বপ্ন বুননের আদি কারিগর
আকাঙ্ক্ষার বৃষ্টিপাতে ভিজে
তাকাতে পারি না এতো দীর্ঘতম পথের আহ্বান
বহুদূর থেকে কাছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদক্ষেপ বিসর্জ্জন দিয়ে
ঘাসের গালিচা ছুঁয়ে ঝরে পড়ি নাগলিঙ্গমের পাতা
উড়ন্ত হাসিতে খুঁজি প্রাগৈতিহাসিক কোন অদম্য প্রত্যাশা
বুড়ো রাজনীতির বৃক্ষটি
প্রতিদিন আমার এ রৌদ্রকে শাসায়
গার্হ্যস্থ বণিক পাখি সূচালো ক্ষুরের ঠোঁটে
কাঁটে আমার চামড়া
করতলে আঁকে রক্তের যন্ত্রণা
তবু একবাটি ইচ্ছার শরবতে খুঁজি
অন্য রকম প্রেরণা।

অধ্যাদেশ

একদা শৈশবে সব রকমের নৈরাশ্যকে নিজের জন্য
নিষিদ্ধ করেছিলাম
আজও সেই অধ্যাদেশ বলবত রেখেছি
কতদিন প্লাবিত দু:খের সমুদ্রকে বলেছি
আমি পর্বতের সন্তান
নিজস্ব নির্ভরতার শৃঙ্গ আছে আমার নিজস্ব সত্ত্বায়
যখন অনন্ত যুদ্ধের ডামাডোল বাজায়
মেকি সভ্যতার নাকারচিরা
পৃথিবীর সহনশীলতাকে লেপ্টে দেয়
মানুষের রক্তে ক্ষোভে দু:খে
আমি জলভার অশ্রুতে লাগিয়ে দিই
পরম আশাবাদের আরও একটি চারাগাছ
মন্দার গোধুলী বেলা শবযাত্রা নিয়ে আসে
আমাদের বস্তির সেই সকরুণ রাস্তা বরাবর
মুমূর্ষু গণতন্ত্রের অনাথ বোনটি ভবিষ্যত আশঙ্কায়
কান্না জুড়ে দেয়
আমি তাকে বলতে পারি না আগামীকালও সূর্য উঠবেই
তবু আমি আমার আদি শেকড়ের
আস্থাটুকু টলাতে পারি না।
আমার বিক্ষত বুক জুড়ে লেপ্টে থাকে সেই
আশাবাদের অনঢ় অধ্যাদেশ।

মা জননীর গল্প

আমার মা জননী প্রতি জ্যোৎস্না রাতে উঠোনে সযত্ন দুঃখ বুনতেন
রাতের তারারা তাতে ছিাটয়ে দিতো উৎকর্ষ রাসায়নিক
এভাবে আজীবন লাফিয়ে উঠেছে তার দু:খ সংসারের শস্যবীজ

যখন সন্ধ্যায় পরিতৃপ্ত পশুগুলোর মতো সন্ধ্যা এসে উঠোনে দাঁড়াতো
মা তার গলায় লাল ঘন্টা পড়িয়ে নিয়ে যেতেন সমুখদর থেকে পিছদরে
তারপর তিনি তার ক্ষুধার্ত সন্তানদের সামনে বেড়ে দিতেন দীর্ঘশ্বাসে উত্তপ্ত আহার্য।

আমরা সেই আহার্যের ভাপ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম দস্তরখানায়
তিন সন্ধ্যার ঘোর কেটে গেলে মা নেমে যেতেন ছোট্ট সেই উঠোনে
তারপর খুলে দিতেন তার মলিন দুঃখের সমস্ত ভাঁজ
তখন অন্ধকারে ঘাস ফরিঙের মতো ছড়িয়ে পড়তো এক ক্ষুধার্ত পরিবারের স্বপ্ন
সেই স্বপ্নকে তিনি গেঁথে নিতেন হাজার কাহিনীর নকশী কাঁথায়
সন্তানদের ক্ষুধার উপশমে নিয়তো তিনি সিদ্ধ করতেন রাতের অন্ধকার আর ধৈর্যের প্রহার
প্রতীক্ষার ঢেঁকিতে ছেটে নিতেন অভাবের লাল ধান।

তারপর ঘরের দাওয়ায় পূর্ণিমার আলো উঠে এলে
উঠোনে বুনে দিতেন রাশি রাশি দুঃখ
শুনেছি মধ্যরাতে সেই শস্যবীজে ফসল গজালে
দাহন কাঁচিতে তা কাটা হত।

শেষ রাতে বাবা ফিরে আসতেন ঘরে
কাধে তার সমাজ বিপ্লবের দুঃসহ বোঝা
তাকে ঘিরে থাকতো অসংখ্য ভয় ও আশঙ্কা
তার নিদ্রাক্লান্ত চুলে থাকতো শিশিরের মতো শাদা উদ্বেগ
লাল বইয়ের স্বপ্ন বিছিয়ে তিনি নীরব ঘুমিয়ে পড়তেন।

মা জননী আসন্ন সূর্যের থেকে আগাম আগুন কর্জ নিয়ে
আমাদের জন্যে একটি নতুন দিনের দরোজা খুলে দিতেন।

দূরফ্ল্যাটে

সারারাত স্তব্ধ বুক বরাবর শব্দ করে
প্রিয় এক নাগরিক ঘুণ
ক্লান্তির শ্যাওলা রঙে কর্পোরেট চাঁদ যেন
কপালে করুণ
তুমিও দিয়েছ তারে স্বাধীনতা,
দ্বিধা অধিকার
সেই সুখে বিক্ষত সে, তার জন্যে
নেটওয়ার্ক ভরা হাহাকার
তবু সেই প্রত্ন মন যার আছে বিশ্বাসের
প্রশান্ত পুরাণ
সড়ক শোনেনি তার সর্বনাশা নদীদাহ
হরিতের গান
প্রতিদিন গতিস্রোতে তোমারও পালকে জমে
কার্বনের ফেনা
ছায়াগ¬াসে ঢেকে রাখা ধরিত্রীর
নিঃশ্বাসের দেনা
নিয়নের তীরবিদ্ধ রাত আসে দূরফ্ল্যাটে
টাওয়ারের দ্বীপে
যান্ত্রিক কান্নার মেঘ উড়ে যায় অপশনে
ইথারের স্লিপে ॥

টাওয়ার ও তালগাছ

নিকেলের গন্ধবহ রুগ্নক্লান্ত বায়ু
নুয়ে আছে তালগাছ প্রকৃতির আয়ু
পাখিদের মরা চোখে ধূলির শিশির
ইট কাঠ পাথরের আচানক ভিড়

গাছপালা ঢেকে দিয়ে বাড়ছে টাওয়ার
বাড়ছে নগর স্বপ্ন ধূলি সিসা আর
কারখানা বিলবোর্ড দালানের সারি
তছনছ হয়ে আছে প্রকৃতির বাড়ি

নুয়ে আছে তালগাছ টাওয়ারের ভিড়ে
পাখিদের হাহাকার দূরে যায় ফিরে
প্রতিদিন সড়কের বাড়ে সংযোগ
সীমাহীন হয়ে ওঠে নাগরিক রোগ।

ইতিহাস

একটা অমিত সূর্য জেগে ওঠে
প্রকৃতি শোভিত এই পৃথিবীর ভোরের দুয়ারে
আশ্চর্য রঙের মাঝে সোনালি অক্ষরে
লেখা হয় মানুষের শ্রম ঘাম আশা প্রেম
সম্ভাবনা
একটা নিবিড় নীড়ে জমে ওঠে দুনিয়াবী মেলা
মানুষের আত্মত্যাগ লেখা হয় শ্রদ্ধার আসনে
প্রত্যাশার সৌধগুলো স্থায়ীত্ব পেয়েছে
মহত্তম অহংকারে
পরাহত প্রাচীনের কার্নিশ ফাটিয়ে
নির্ভয় গল্মের মতো ডানা মেলে মানুষে গান
পাথর নিশ্চলে তার রক্ত ঢেলে
শতাব্দীর সত্যগুলো খুঁজে পায় নতুন ঠিকানা
না কোন পরাজয় নেই
মানবিক চেতনা মরে না সহজে
কালের পৃষ্ঠায়
নতুন দিনের গান সে স্পর্ধায় লিখে যায়।

ভেজা চোখ ছুঁয়ে আছে নদী

প্রথমত নদীই আমাকে শিখিয়েছিল গান
বুকের পাজর খুলে
একটি বিশাল ছাতিমগাছের ভাষায়
আমার একাকিত্বের মধ্যে ঢেলে দিয়েছিল তার ঢেউ
আমি তখনো আকাশ থেকে কোনো রঙধনু পাড়তে শিখিনি
কেবল ফসলের শয্যায় বহুকাল কাটিয়েছি ঘুমে
ক্লান্তচিলের কান্নাভরা নিশ্চল মধ্যাহ্নে
সম্ভাব্য পথের মোহনায়
একটা হিজল গাছের মতো ছিলাম প্রতীক্ষায়
ক্লান্ত বিকেলের দীর্ঘশ্বাস ভরা খররৌদ্রের বন্যায়
ধুয়ে নিয়েছিলাম আজন্ম ভয়ের পরিণাম
কেননা আমার জন্য অনিবার্য হয়ে উঠেছিল পথ
এখন আমার কণ্ঠে সাদামেঘ আর নীরব দু:খের সুরলোক
হাতে আছে খসেপড়া রৌদ্রের মহৎ পালক
আমার জন্যে বর্শাবিদ্ধ স্বপ্ন নিয়ে বসে আছে জীবনবাদী চাষীরা
আর ঢেউয়ের মন্ত্রে আমার ভেজা চোখ ছঁয়ে আছে নদী..

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে