জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ থেকে শনিবার ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
‘সুশাসনের লক্ষ্যে ও জাতির মুক্তির পথে’ ঘোষিত এই ১৮ দফার মধ্যে প্রাদেশিক সরকার গঠন করে প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার ও পুনর্গঠন এবং সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এরশাদ।
এছাড়া পূর্ণাঙ্গ উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন, বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা, শিক্ষা পদ্ধতির সংস্কার, শান্তি ও নিরাপত্তার সহাবস্থানে রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা ও শিল্প খাতের অগ্রগতি প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে ঘোষিত ইশতেহারে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের ‘শক্তিমত্তার’ জানান দিতে শনিবার সোহরাওয়ার্দীতে এরশাদ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলেছেন, ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করাই তাদের এ মহাসমাবেশের উদ্দেশ্য।
এই মহাসমাবেশ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই দলীয় নেতাদের ছবিসহ ‘চলো চলো, ঢাকা চলো’ স্লোগানে পোস্টার ও ব্যানার দেখা যাচ্ছিল ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির এক যৌথসভায় এরশাদ ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দীতে এই মহাসামবেশ করার ঘোষণা দিলেও তার সিঙ্গাপুর সফর এবং বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে মহাসমাবেশের তারিখ পিছিয়ে ২০ অক্টোবর নতুন তারিখ রাখা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশ মঞ্চে এরশাদের পাশেই রয়েছেন পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
এছাড়া জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা এবং জোটের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের নেতারাও সমাবেশে অংশ নেন।