২০১৫ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৪টি দল অংশ নিলেও সেখান থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপে দল সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে দশে। তার মানে ইংল্যান্ডে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপও হবে ১০ দলের।
টুর্নামেন্টকে আরও বেশি আকষর্ণীয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতেই দল সংখ্যা কমিয়ে এনেছে আইসিসি। কিন্তু, এ নিয়ে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর আক্ষেপ-অভিযোগের শেষ নেই! কারণ সহযোগী সদস্য দেশগুলো এমনিতেই ওয়ানডে খেলার সুযোগ তেমন পায় না। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ তারা খেলতে পারে না। বিশ্বকাপ অধিকারও কেড়ে নেওয়ায় হতাশ সদস্য দেশগুলো। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যেমন খেলতে পারছে না জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলোও। ফলে দল সংখ্যা কমানোয় অনেক ক্রিকেট বোদ্ধাও আইসিসির সমালোচনা করেছেন।
কিন্তু, সহযোগী দেশগুলোর সেই অভিযোগ বা বাইরের লোকের সমালোচনাকে যে আইসিসি পাত্তাই দিচ্ছে না।যে কারণে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের মতো ২০২৩ সালের বিশ্বকাপও ১০ দল নিয়েই আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে দল বাছাই প্রক্রিয়ায় থাকছে পরিবর্তন। ২০১৯ বিশ্বকাপের দল বাছাই করা হয়েছে মূলত র্যা ঙ্কিং অনুযায়ী। স্বাগতিক ইংল্যান্ড সুযোগ পেয়েছে সরাসরি। বাকি ৯ দলের ৭ জায়গা পেয়েছে র্যা ঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে।
আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্বাগতিক ইংল্যান্ড বাদে র্যা ঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৭টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। যার মধ্যে আছে বাংলাদেশও। বাকি দুটি দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠেছে বাছাইপর্ব খেলে। বাছাই যুদ্ধ পেরিয়ে টিকিট কেটেছে আফগানিস্তান ও দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাছাই প্রক্রিয়ার এই নিয়মে পরিবর্তন আনছে আইসিসি। ২০২৩ বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত বাদে প্রতিটি দলকেই প্রাথমিক বাছাইপর্বে অংশ নিতে হবে। পূর্ণ সদস্যসহ সেই প্রাথমিক বাছাইপর্বে অংশ নেবে মোট ৩২টি দেশ। ২০১৯ সালের জুলাই থেকেই (বিশ্বকাপের পর থেকে) শুরু হয়ে সেই বাছাইপর্ব চলবে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত। প্রাথমিক সেই বাছাইপর্বে অংশ নেওয়া ৩২টি দল মোট ৩৭২টি ম্যাচ খেলবে। সেখান থেকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ৮টি দল সরাসরি পাবে বিশ্বকাপের টিকিট।
পয়েন্ট তালিকার এর পরের ৫টি দল পুনরায় বাছাইপর্বে অংশ নেবে। সেখান থেকে শীর্ষ দুটি দল পাবে ভারতের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার টিকিট।
এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় আইসিসি জানিয়েছে, এই দীর্ঘ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহযোগী দেশগুলো অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। তারা খেলতে পারবে ক্রিকেটের পরাশক্তি দেশগুলোর বিপক্ষেও।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বলেছেন, নতুন এই কাঠামোতে অবশ্যই ম্যাচ সংখ্যা বাড়বে। আমাদের সহযোগী সদস্যদেশগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক মাচ খেলার সুযোগ বাড়বে।