একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে যেকোনো সময়। এমন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেছেন।
এবারের নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কমানো নাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আজ সোমবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সৌদি আরব সফরের বিষয় জানাতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করা হলে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর তাছাড়া বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের মন্ত্রী আছে।
মন্ত্রীসভা ছোট করে নির্বাচনকালীন সরকার এবার কখন হবে এবং তার ধরন কেমন হবে? দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট না করলে কোনো অসুবিধা আছে কি-না।
প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, যুক্তরাজ্যের মতো যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, কোথাও নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা কেন পুনর্গঠন করা হয়েছিল, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় বিরোধী দলে থাকা বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হচ্ছিল না বলে তখন তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যে মন্ত্রণালয় চায়, সেই মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলেছিলাম। তারা যখন আসেনি, তখন বিভিন্ন দলগুলো নিয়ে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা (দশম সংসদ নির্বাচনে) মেজরিটি পাওয়া স্বত্ত্বেও প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। এই মন্ত্রিসভায় জনগণের প্রতিনিধি যারা, তারা আছেন। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে, জানি না এটাকে ছোট করার দরকার আছে কিনা। কাটছাঁট করা হবে কি-না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা ছোট করা হলে একজনকে কয়েকটা মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুই তিন মাসের জন্য থমকে যেতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভাবতে হবে।