চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৭৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে বলে আজ সংসদে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে এম. আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রবাসীদের অর্থ দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মসৃজনের পাশাপাশি বেকারত্ব হ্রাস, দারিদ্র্যবিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। তাই অভিবাসী কর্মীদের সেবা প্রদানের জন্য শ্রম উইংয়ের সংখ্যা ও জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শ্রম উইংয়ের সংখ্যা ১৬টি হতে ৩০টিতে উন্নীত করা হয়েছে এবং নতুন করে আরও ১১টি শ্রম উইং চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫টি দেশে বাংলাদেশের কর্মী যাচ্ছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি গমন করে থাকে। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৩ জন কর্মী দেশটিতে গমন করেছে।
নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারি তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে মালোয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হয়। ২০১৬ সালে সরকার অধিকহারে কর্মী প্রেরণের জন্য বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এ প্রক্রিয়ায় সারা দেশ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৭ জন কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রেরণকৃত কর্মী সরকারের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গমন করেছেন। ইতিপূর্বে সফল শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় দুই লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে যেসব কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছে তাদের বৈধকরণের বিষয়ে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।