খালেদার যাবজ্জীবন চেয়েছে দুদক

ডেস্ক রিপোর্ট

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর বিচারিক আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের সাজা বহাল চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আসামিপক্ষের করা সময় আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করেন আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শেষ করেছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আরো সময় চেয়েছেন। কিন্তু আদালত সময় দেননি। এরপর তারা আদালতকক্ষ থেকে চলে যান। পরে আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

universel cardiac hospital

দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘এ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারিক আদালত। আমরা খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে আবেদন করেছি। শুনানিতেও তার সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছি।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ-৫ মো. আখতারুজ্জামানের আদালত এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্য সব আসামিকে ১০ বছরকরে কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে সকল আসামিকে ২ কোটি টাকা করে জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকায় নাজিম উদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন। আদালতে থাকা অন্য দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকেও কারাগারে নেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা এই তিন আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে রিভিশন আবেদন করে দুদক

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে