বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহারে দেয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ঢাকা। ঢাকার এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষেতে এবার ভারতের পক্ষ থেকে এর প্রতিদান দেয়ার সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। ভারতের কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর বাংলাদেশকে ব্যবহার করার অনুরোধ জানাতে যাচ্ছে দিল্লি।
চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল পূর্বনির্ধারিত সফরে দিল্লি যাবেন। সেখানে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সমঝোতা হতে পারে। এর মাধ্যমে ভারত তার রুগ্ণ বন্দর ব্যবহারে উপকৃত হবে আর বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কানেকটিভিটির বিশেষজ্ঞ প্রবীর দে বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প মালিকরা এই প্রস্তাব লুফে নেবেন। কারণ চট্টগ্রামের তুলনায় হলদিয়া থেকে তাদের রফতানি সহজ ও দ্রুত হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানির জন্য বন্দরে স্পেশালাইজড কিছু সার্ভিস লাগে। তাদের রফতানির ডেডলাইন মিট করার জন্য বন্দরের টার্ন-অ্যারাউন্ড টাইম খুব কম হতে হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে সত্যি বলতে গেলে সেই পরিস্থিতি নেই। কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিং না করলে বড় জাহাজ সেখানে ভিড়তে পারে না। তখন ছোট জাহাজে মালপত্র তুলে কলম্বো বা সিঙ্গাপুর থেকে সেটা ট্রান্সশিপমেন্ট করতে হয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।