আজ বাংলাদেশ-ভারত নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠক

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-ভারত নৌসচিব পর্যায়ের তিন দিনব্যাপী বৈঠক আজ বুধবার শুরু হচ্ছে। চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ।

বৈঠকে অংশ নিতে নৌপরিবহন সচিবের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লির উদ্দেশে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ত্যাগ করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের নৌখাত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি স্থান পাবে।

এ ছাড়া দুদেশের মধ্যে যাত্রী ও পর্যটকবাহী ক্রুজ (জাহাজ) চলাচল-সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি), নৌপথে পণ্য চলাচল সুবিধার জন্য প্রচলিত প্রটোকল ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডে (পিআইডব্লিউটিটি) প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) স্বাক্ষরিত হয় এবং নৌ বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান থাকে। উক্ত প্রটোকলের মেয়াদ ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ উত্তীর্ণ হলে ২০১৫ সালের ৬ জুন পুনরায় পিআইডব্লিউটিটি স্বাক্ষরিত হয়।

২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কোস্টাল শিপিং-বিষয়ক চুক্তি, প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

পরবর্তীকালে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল রুটের সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া এবং আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ রুট উন্নয়ন, কোস্টাল এবং প্রটোকল রুটে যাত্রী ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল এবং দুদেশের মধ্যে নেভিগেশন সহায়ক সহযোগিতা-সংক্রান্ত তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনোজ কান্তি বড়াল, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ এইচ এম আহসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোশারফ হোসেইন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও অপারেশন) মো. শহীদুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মহিদুল ইসলাম, উপসচিব এ টি এম মোনেমুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) রিয়াদ হোসেইন এবং উইন শিপ কোম্পানির স্বত্বাধিকারী সৈয়দ বশির আহমেদ।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে