নিরাপদ সমুদ্র অঞ্চল গড়ে তুলতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি নিরাপদ সমুদ্র অঞ্চল গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ১৪তম হেডস অব এশিয়ান কোস্টগার্ড এজেন্সির মিটিংয়ের উদ্বোধন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অপেক্ষাকৃত নতুন বাহিনী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের বিশাল উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা বিধান করে থাকে। এজন্য বাহিনীটি দেশের মানুষের আস্থা অর্জনে যথেষ্ট সক্ষমতা দেখিয়ে যাচ্ছে। আমরা একটি নিরাপদ সমুদ্র অঞ্চল গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এশীয় অঞ্চলে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করে আমাদের সমুদ্রকে নিরাপদ রাখবে- এটাই আমার প্রত্যাশা।
সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কোস্টগার্ডের পাশে থাকবে এমনটা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল সমুদ্র এলাকা। আমাদের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে হয়ে থাকে। ওই এলাকার নিরাপত্তায় অবদান রাখছে কোস্টগার্ড। তারা সমুদ্রকে নিরাপদ রাখবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। সেজন্য আমরা তাদের সহায়তা করব।
তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদ নিয়ে আমরা ব্লু ইকোনোমি নীতি গ্রহণ করেছি; যা বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।
বিগত এক দশকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক এগিয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে দেশকে উন্নত করার জন্য অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমরা আমাদের নদী সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে ডেল্টা-২১০০ নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে কাজ করছি। যা উন্নত দেশ হতে আমাদের সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ ছিলাম, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। সমুদ্রের তলদেশের সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
সমুদ্রপথে অপরাধ ঠেকাতে প্রতিবেশি দেশগুলোর সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। এ কারণে সমুদ্রে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও বেশি হয়ে থাকে। এর সঙ্গে শুধু একটা দেশ নয় পাশের দেশও জড়িত থাকে। তাই একটি দেশের পক্ষে এই অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিবেশি দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সম্মিলত প্রচেষ্টা থাকলে নিরাপদ সমুদ্র গড়ে তোলা সম্ভব।