সিরিজ জিততে টাইগারদের দরকার ২৪৭

ক্রীড়া ডেস্ক

দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবে কাজ সারলেন বোলাররা। শেষটা দুর্দান্ত করে প্রতিপক্ষকে মাত্র ২৪৬ রানে আটকে রাখলেন তারা।

এ ম্যাচে বড় নিয়ামক হতে পারে শিশির। এটিই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে দুদলের। তাই আজ বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

প্রথমেই তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন তিনি। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করে ফেরান প্রতিশ্রুতিশীল ও সম্ভাবনাময়ী এ ক্রিকেটার।

পরের গল্পটা শুধু সফরকারীদের। ১৮ রানেই মাসাকাদজাকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। পরে ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন সিফাস জুওয়াও। দুর্দান্ত খেলছিলেন এ জুটি। প্রতি ওভারে পাচেঁর ওপরে রান তুলছিলেন তারা। ধীরে ধীরে চোখ রাঙাতে থাকেন টেইলর-জুওয়াও।

তবে তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৭০ রানে ফজলে মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে জুওয়াওকে (২০) ফেরান তিনি।

তবে থেকে যান টেইলর। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন শন উইলিয়ামস। তাদের ব্যাটে ছুটছিল জিম্বাবুয়ে। এতে নেতৃত্ব দেন টেইলরই। অবশেষে থামের তার চোখরাঙানি। দলীয় ১৪৭ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি তুলে নেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

শেষ পর্যন্ত ৭৩ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলে ফেরেন টেইলর। তার বিদায়ে ভাঙে ৭৭ রানের জুটি।

সহযোদ্ধা হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি উইলিয়ামস। প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও। আবারো শিকারী সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত কাটারে উইলিয়ামসকে (৪৭) মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি।

পরে ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। ধীরে ধীরে সেট হয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে ব্যাটে ছোটাতে থাকেন রানের ফোয়ারা। তাতে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তবে হঠাৎই খেই হারান রাজা। মাশরাফির শিকারে পরিণত হন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তখন পর্যন্ত ইনিংসের নাটাই ছিল জিম্বাবুয়ের হাতে।

তবে খানিক বাদে মুরকে মিরাজের তালুবন্দি করে উইকেটের খাতা খোলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অল্প ব্যবধানে চিগুম্বুরাকে সাইফ ফেরালে হঠাৎ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় লালচাঁদ রাজপুতের দল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে