প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেলো ইথিওপিয়া। দেশটির পার্লামেন্টে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহলি-ওর্ক জিউদি কেবল ইথিওপিয়াই নয়, বরং পুরো আফ্রিকায় বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন।
শাহলি-ওর্ক জিউদি এর আগে সেনেগাল ও জিবুতিতে ইথিওপিয়ার কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে শান্তি ভবনের প্রধানসহ জাতিসংঘের একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি আফ্রিকান ইউনিয়নে জাতিসংঘের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইথিওপিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পদটি আলংকারিক। প্রধানমন্ত্রীই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মুলাতু তেসহোম পদত্যাগ করায় দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিউদিকে নির্বাচিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য কর্মকর্তা ফাতসুম আরেগা এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে একজন নারীকে নির্বাচন করা কেবল ভবিষ্যতের মানদণ্ড নির্ধারণ নয়, বরং জনজীবনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীকে স্বাভাবিক করে তোলাও।
ইথিওপিয়ায় প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিচালনা করেন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা মূলত উৎসব ও অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গত সপ্তাহে ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ছোট মন্ত্রীসভা গঠন করেন। এ মন্ত্রীসভার অর্ধেকই নারী।