আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নুর আহমেদ সড়কের নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ হচ্ছে।
বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট সংশ্লিষ্ট দলগুলো।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ২৫ শর্তে চট্টগ্রামে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তবে পূর্বনির্ধারিত স্থান লালদীঘি ময়দান নয়, নগরীর নুর আহমেদ সড়কের নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। শুক্রবার বেলা ১১টায় অনুমতি দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বাসায় বাসায় তল্লাশি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার আবদুল ওয়ারিশ গণমাধ্যমকে বলেন, ২৫টি শর্তে ঐক্যফ্রন্টকে নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো মেনে বিকাল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করবেন বলে নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশ ঘিরে যে কোনো নাশকতা এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চট্টগ্রামে এটি দ্বিতীয় সমাবেশ। সমাবেশে জোটের প্রধান ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সিনিয়র নেতাদের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
নগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ২১ অক্টোবর লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের ফোন করে বলা হয়েছে, লালদীঘি ময়দান নয়, নাসিমন ভবন আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করা যাবে। অনুমতি পাওয়ার পরপরই আমরা সমাবেশ সফল করার প্রস্তুতি শুরু করি।
এদিকে অনুমতি পাওয়ার পর পরই গতকাল বিকাল ৩টায় বিএনপির বিভাগীয় নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেন বিএনপি। মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, আমানউল্লাহ আমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, জয়নাল আবেদিন ফারুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল, গাজী শাহজাহান জুয়েল, মীর হেলাল প্রমুখ।