কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাবের দাবি, নাশকতা পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে আটককৃত নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠকে বসেছিলেন।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজার শহরে কলাতলীর ‘বে টাচ’ নামে একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে রাত ৮টা ১৪ মিনিটের দিকে কক্সবাজার র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি গণমাধ্যমে জানান।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি দরবেশ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. শাহজাহানের ছোট ভাই জামায়াত নেতা মফিজ উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের নেতা শাহনেওয়াজ, জামায়াত নেতা আব্দুল করিম, মো. হাশেম, রফিক উল্লাহ, মোহাম্মদ ছিদ্দিক, সাবেক শিবির নেতা মো. ইউনুচ, জামায়াত নেতা আবুল আলা মোহাম্মদ রুমেল, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, আব্দুর রহমান, মাওলানা মো. ইউসুফ, নিয়ামত উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, আবছার কামাল ও মোহাম্মদ ফারুক।
র্যাব সূত্র জানায়, শহরের কলাতলীর ‘বে টাচ’ হোটেলের একটি কক্ষে উখিয়ার অরিজিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার নাম দিয়ে নাশকতা পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকে বসেছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতারা। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
কক্সবাজার র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতা পরিকল্পনার জন্য হোটেলে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের পরিকল্পনা ভণ্ডুল করা হয়। পরে তাদেরকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, র্যাব ১৭ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।