নির্বাচন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র ছিল তা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এমনটিও জানিয়েছেন, বিএনপি ভোটে না এলে তিনি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবেন। আর বিএনপি ভোটে এলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করবে তার দল।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দলের নির্বাচনী প্রচারণার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন এরশাদ।
এরশাদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংশয় কেটে গেছে। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় কেটে যাওয়ার কারণও জানিয়ে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন মাঠে শুধু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি আর বিএনপি। অল্পদিনের মধ্যেই মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হবে। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টি আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছে দাবি করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো রেজাল্ট করবে।
এবারে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির স্লোগান হবে ‘পল্লীবন্ধু’র হাত ধরে দেশ শাসনে আরেকবার’। আর নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় পার্টির ৯ বছরের শাসনামলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে।
দলের ডিজিটাল প্রচারণার বিষয়ে এরশাদ জানান, প্রতিদিন সাড়ে চার কোটি মানুষের কাছে প্রতিদিন জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। গুগলে একটি প্লাটফর্ম থাকবে যেখানে ক্লিক করলে জাতীয় পার্টির উন্নয়নের চিত্র ভেসে আসবে। আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কিন্তু বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণায় যারা উল্লসিত, তারা গ্রামের খবর জানেন না। সবাই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত।
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট করার কথাও বলেন জাপা চেয়ারম্যান আবার তাদের সমালোচনাও করেন।
তিনি বলেন, খুন-গুম আর রক্তে দেশ আজ ভালো নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, মানুষ শান্তিতে বাঁচতে চায়। আমরা মানুষকে বাঁচাতে পথে নেমেছি। আমরা দেশের মানুষকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শান্তি দেব- মুক্তি দেব। প্রমাণ হয়েছে শুধু জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ এ দেশে সুশাসন দিতে পারে না।
তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আমি এখনো বেঁচে আছি। লাঙ্গলে ভোট দেবেন, আমরা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেব। আমাদের চেয়ে কেউ বেশি উন্নয়ন করতে পারেনি, কেউ পারবেও না।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।