জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর আমি একটা দিনও শান্তিতে থাকতে পারিনি। তাই জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে মরতে চাই আমি।
আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভার আয়োজন করে উপজেলা জাতীয় পার্টি।
জনসভায় এরশাদ বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি চায় এবং জীবনের নিরাপত্তা চায়। তারা আশা করছে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে সেটা পেতে পারে। শান্তির জন্য পরিবর্তন শুধু জাতীয় পার্টি দিতে পারে। আর কেউ পারবে না।
জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনমুখী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কে নির্বাচনে আসলো কে আসলো না আমরা পরোয়া করি না। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচন না করলে সরকারের পরিবর্তন হবে না।
নিজের শাসনামলের শান্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, রাস্তার ধারে মরদেহ পড়ে থাকে মানুষ বিচার পায় না। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে খুন-হত্যা বন্ধ হবে। ব্যাংক লুট হবে না, গায়েবি মামলা হবে না। আমরা মানুষকে সুখ-শান্তি দেব।
যদি কারচুপির নির্বাচন না হয় তাহলে জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের বলেন, আগে নির্বাচনে যে উৎফুল্লতা দেখেছিলাম এখন সেটা নেই। সরকার বলছে যথাসময়ে নির্বাচন হবে আর তাদের প্রতিপক্ষ বলছে ৭ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। তবে জাতীয় পার্টি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। যদি সব দল নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে আমরা মহাজোটে থেকেই নির্বাচন করব।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি ধ্বংসে নয়, উন্নয়ন ও কল্যাণে বিশ্বাস করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে গুম-খুন ছিল না। জাতীয় পার্টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। জনগণের ভোটে জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় আসবে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ও নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জিয়াউল হক মৃধা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া ও ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাতীয় পার্টির সভাপতি ফয়সাল হোসেন চিশতি প্রমুখ।