খালেদা জিয়া আপিল বিভাগের নির্দেশনা নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আগের মামলার রায় স্থগিত হতে হবে। কিংবা আদালতের কাছ থেকে নির্দেশনা নিতে হবে।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম একথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি দু’বছরের অধিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে কারাভোগের একটি নির্দিষ্ট সময় (৫ বছর) অতিবাহিত না হলে তিনি নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হন। এক্ষেত্রে আপিল বিভাগ থেকে যোগ্য হলে নির্বাচন করতে পারেন।
তিনি বলেন, শুধু খালেদা জিয়া নন, তাদের মতো যারা আছেন তারা কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে যদি আপিল করেন, সেক্ষত্রে আপিল বিভাগ যদি আগের রায় স্থগিত করে আপিল গ্রহণ করেন, তবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। আর যদি স্থগিত না করে আপিল গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে তারা আদালতের নির্দেশনা চাইতে পারেন। এতে আদালত যদি নির্বাচনের জন্য অনুমতি দেয় কিংবা নির্বাচনের জন্য যোগ্য ঘোষণা করেন, তবে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। এটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ আদালতের ওপর। আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতেই আমরা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবো।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে তিনি বলেন, ১০ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতা রয়েছে। যদি ৩শ কেন্দ্রেও ইভিএম ব্যবহার করি আমাদের বেশ কিছু সক্ষমতার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে মেশিন কাস্টমাইজ করতে হবে, প্রশিক্ষণের বিষয় আছে। আমরা একটি প্রকল্প নিয়েছি। এতে প্রথমে অর্ধেক ইভিএম পরে কয়েক ফেজে ইভিএম কেনা হবে।
বিএনপিসহ প্রায় দুই ডজন দল ইভিএম ব্যবহারের প্রতি অনাস্থা দিয়েছে, এক্ষেত্রে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজ একটি আস্থাহীন সমাজ। একটা বিশ্বাসহীন সমাজে এমন থাকবে। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তাদের আস্থায় আনার জন্য আমরা ইভিএম কার্যাবলী পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণ জানাবো।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে। তাই ৩১ অক্টোবর আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করবো। এখানে সরকারের নির্বাহী বিভাগ তথা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেবে। এতে নির্বাচনের জন্য আমাদের যে সব সহায়তা দরকার, তা নিশ্চিত করতে বলবো।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা সেনাবাহিনীকে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় আমন্ত্রণ জানাবো।
নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। এ বিষয়ে কোনো ঘাটতি থাকলে তফসিল ঘোষণার পর আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ (ব্যবস্থা) নেবো।