হাইকোর্ট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে দ্রুত ডিভিশন সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মইনুলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
গত ২৩ অক্টোবর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে তাকে সাধারণ বন্দি হিসেবে রাখা হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। আটকের পরপরই ব্যারিস্টার মইনুলকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে অশোভন মন্তব্য করেন মইনুল হোসেন। এ ঘটনায় রংপুরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া। তিনি রংপুর নগরীর মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা।
রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আইনুল হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করেন। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিভিন্ন জেলায় আরো অনেক মামলা দায়ের করা হয়েছে মইনুলের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দুটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন নিয়েছেন।