উচ্চ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর রায় সংলাপে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি এই রায়ের ফলে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে কি না- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
আজ মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে দলের পক্ষে এই অভিমত প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামীকাল বুধবার সারা দেশেই মহানগর ও জেলা শহরগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়েছিল।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে আজ মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংলাপ হতে যাওয়ার ঠিক দুদিন আগে ফ্রন্টের অন্যতম দল বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই রায় এলো।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ দাবি করে তা প্রত্যাখ্যানের কথা জানান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে দূরে রাখতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের ফলে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে কি না-সংশয় রয়ে গেল। এই রায়ে বিএনপি বিস্মিত ও স্তম্ভিত। এ রায় অস্বাভাবিক ও সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং তাকে রাজনীতি এবং আগামী নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বেআইনিভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা রায় প্রত্যাখ্যান করছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন, মো. শাজাহান উপস্থিত ছিলেন।