#মিটু কাণ্ডে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে : সৌরভ গাঙ্গুলী

ক্রীড়া ডেস্ক

#মিটু কাণ্ডে যে ভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন সৌরভ । বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রাহুল জোহরি ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় উঠেছেন। #মিটু আন্দোলনে জড়িয়েছে তাঁর নাম। তিনি আগে যেখানে কর্মরত ছিলেন, সেখানকার এক মহিলা সহকর্মী জোহরির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এই নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চালানোর দায়িত্বে থাকা কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)। জোহরির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এবং তা নিয়ে সিওএ-র ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সৌরভ। যে অসন্তোষের কথা ই-মেইলে বোর্ডের পদাধিকারীদের জানিয়েছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট।

যেখানে সৌরভ লিখেছেন, ‘‘আমি জানি না, ঘটনাটা কতটা সত্যি। কিন্তু এই সব নিগ্রহের রিপোর্টের ফলে বোর্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তবে তার চেয়েও বেশি হচ্ছে যে ভাবে পুরো ব্যাপারটা সামলানো হচ্ছে, তার জন্য। সিওএ আগে চার সদস্যের ছিল। সেটা এখন কমে দুই সদস্যের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সেই দু’জনের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে।’’ সিওএ-তে এখন রয়েছেন বিনোদ রাই এবং ডায়না এডুলজি। রাই যেখানে তদন্তের জন্য নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন, সেখানে এডুলজি সরাসরি দাবি তোলেন জোহরির অপসারণের।
সি কে খন্না, অমিতাভ চৌধুরি, অনিরুদ্ধ চৌধুরীদের কাছে সৌরভ আবেদন করেছেন বোর্ডের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন করার। পাশাপাশি টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত যে ভাবে উড়িয়ে দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়ম কানুনে বদল আনছে সিওএ, তাতেও খুশি নন সিএবি প্রেসিডেন্ট। বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান সৌরভ লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেটীয় নিয়ম যে ভাবে মৌসুমের মাঝপথে বদলে যাচ্ছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। বোর্ডের বিভিন্ন কমিটিতে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। বোর্ডের সঙ্গে জড়িত আমার এক বন্ধু প্রশ্ন করেছিল, কোনও সমস্যা হলে কোথায় যাব? আমার কাছে এর কোনও জবাব ছিল না।’’

এরই মধ্যে আবার সিওএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জোহরি নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগে বলতে হবে, তারা কোনও স্বার্থ সংঘাতের মধ্যে জড়াচ্ছে কি না। স্বার্থ সংঘাতের কারণে ইতিমধ্যেই এক সদস্যকে বদল করতে হয়েছে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে এক নোটিশের মাধ্যমে সিওএ পরিষ্কার বলেছে, ‘‘কমিটির প্রথম বৈঠকেই সদস্যদের জানাতে হবে, তারা কোনও ভাবেই স্বার্থ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে না।’’

এর আগে কমিটির অন্যতম সদস্য, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর পি সি শর্মাকে সরিয়ে দিতে হয়েছে এই স্বার্থ সংঘাতের কারণেই। কমিটি গঠিত হওয়ার পরে জানা যায়, তাঁর এক আত্মীয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেই কর্মরত। সিওএ বলেছে, ‘‘জোহরির বিরুদ্ধে যে কোনও অভিযোগের তদন্ত করতে পারে কমিটি। যাঁর কাছে কোনও তথ্য থাকবে, তিনি কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে