ড. কামালের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ সফল হবে না বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ যে দাবি তুলেছেন তা সরকার মেনে নিতে পারবে না।
সফল হবে না জেনেও এই সংলাপে যোগ দিচ্ছেন সংসদে প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারম্যান। আর এই আমন্ত্রণ তিনি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে।
ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেন এবং বিকল্পধারার একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মতো এরশাদের চিঠির পরও প্রধানমন্ত্রী সাড়া দিয়েছেন দ্রুত।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই সংলাপ। আর এতে যোগ দিতে আগের দিন বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন এরশাদ। সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহন গোলাপ এবং তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আফজাল হোসেন পাল্টা চিঠি তুলে দেন জাপা চেয়ারম্যানের হাতে।
চিঠি পেয়ে এরশাদ জানান, আগামী সোমবার তার নেতৃত্বে দলের ২০ সদস্যের একটি দল সংলাপে অংশ নেবে। আর এ সময় তিনি সংলাপ নিয়ে তার সংশয়ের কথা বলেন।
জাতীয় পার্টিকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, তার দল নির্বাচনে গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসলে জাপা জোটবদ্ধ হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তিনশ আসনে জাপা প্রার্থী দেবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের সংলাপের আগ্রহ প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের দ্বার সব সময় উন্মুক্ত আছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।