জোটের শরিক নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০ দলের ব্যানারে কর্মসূচি দিতে বিএনপিকে প্রস্তাব দিয়েছেন । বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জোটের বৈঠকে নেতারা এ প্রস্তাব দেন।
জবাবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে জানানো হবে।
বৈঠক শেষে জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান মত ও পথকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে ঘণ্টাব্যাপী।
ইরান বলেন, বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছি সংলাপে কোন বিষয়ে আলোচনা হবে। তারা বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা এবং ১১ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করবেন।
তিনি বলেন, সরকার যে সংলাপে সাড়া দিয়েছে আমরা ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে তা স্বাগত জানিয়েছি। প্রত্যাশা করি দেশে যে চলমান রাজনৈতিক সংকট, অস্থিরতা এবং নির্বাচন, এসব বিষয়ে পারস্পারিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সংলাপ সফল হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা নিয়ে যে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি সে বিষয়ে আমাদের জানিয়েছে। কেবল খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের জন্য ৭ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়নি। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ভূতুড়ে মামলা হয়েছে। কীভাবে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করা যায়, নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায়, এগুলো সরকারের ছক, এসব বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট রয়েছে দাবি করে ইরান বলেন, আমরা ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা বলেছি। বিএনপি বলেছে, তারা তাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের পর এসব বিষয়ে নিয়ে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে আমাদের আবার বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে তা সাজানো ফরমায়েশি রায়, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে মামলা, তার প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা, এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বৈঠকে। আমরা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মুক্তির দাবি করেছি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাপা’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ পিপলস লীগের সৈয়দ মাহাবুব হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির তাসমিয়া প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুর রাকিব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির রোদোয়ান আহমেদ প্রমুখ।