সংলাপে মান্না লেট, অনুপস্হিত গয়েশ্বর!

বিশেষ প্রতিনিধি

বহুল প্রতীক্ষিত সংলাপে যোগ দিতে ৮ মিনিট দেরি করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের এই সংলাপ শুরু হয়। কিন্তু মান্না সেখানে পৌঁছেন সাতটা আট মিনিটে।

মান্না পৌঁছাতে পারলেও, প্রতিনিধি দলের সদস্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পৌঁছতেও পারেননি।

সংলাপে আওয়ামী লীগ এবং তার জোটের চারটি শরিক দলের মিলিয়ে অংশ নিয়েছেন ২১ জন। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকেও যাওয়ার কথা ছিল সম সংখ্যক নেতার।

সন্ধ্যা ৭টার সময় এই সংলাপ শুরুর কথা থাকলেও নেতারা আসতে থাকেন সাড়ে ছয়টার পর থেকেই। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে প্রথমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, আব্দুল মঈন খান গণভবনে ঢোকেন।

আওয়ামী লীগের তরফে যারা সংলাপে অংশ নেবেন তারাও একে একে গণভবনে আসতে থাকেন। শুরুর দিকেই মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের একাংশের সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে গণভবনে ঢুকতে দেখা গেছে।

তবে ৭টার আগে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেয়া তালিকার ১৯ জন প্রবেশ করেন গণভবনে। কিন্তু বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ছিলেন না সেখানে।
ততক্ষণে শুরু হয় যায় আলোচিত সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা। অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।

এর মধ্যে সাতটা ৮ মিনিটে গণভবনে গাড়ি নিয়ে আসেন মান্না। দেরি হলেও তাকে ঢুকতে বাধা দেয়নি কেউ।

অন্যদিকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আর দেখা মেলেনি।

সব মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্টের ২০ জন নেতার মধ্যে বিএনপির ছিলেন ছয় জন, কামাল হোসেনের দল গণফোরামের ছয় জন, তার আরেক উদ্যোগ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই জন, জেএসডির তিন জন, নাগরিক ঐক্যের দুই জন এবং গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কেন সংলাপে যোগ দেননি-জানতে তার সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করলে তার সবগুলো মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে