মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সড়কপথে তাকে রংপুর নেয়া হয়। পরে তাকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন ডন।
২৫ অক্টোবর তার জামিনের আবেদন করেছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কয়েকজন আইনজীবী। ওই সময় মামলার নথি না পাওয়ায় জামিনের শুনানি হয়নি।
আগামীকাল রোববার রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে তার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলার আমজাদ হোসেন ডন বলেন, বিকেলে মইনুল হোসেনকে ঢাকা থেকে রংপুর কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে কারাগারে তাকে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেয়া হয়েছে। রোববার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
ব্যারিস্টার মইনুলের আইনজীবী শফি কামাল বলেন, রোববার মইনুল হোসেনের পক্ষে আদালতে জামিনের আবেদন উপস্থাপন করব আমারা। আশা করি আদালত তাকে জামিন দেবেন।
প্রসঙ্গত, ২২ অক্টোবর মানবাধিকার কর্মী নগরীর সুরজ মিয়ার স্ত্রী মিলি মায়া বেগম রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনে বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওই দিন আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে রাতেই ঢাকায় মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত সায়ন্ত। একপর্যায়ে লাইভে যুক্ত হন আইনজীবী মইনুল হোসেন।
এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?
মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠলে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।