নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির ৪ দিনের মাথায় ভোটগ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে তা গেজেট আকারে জারি করবে ইসি সচিবালয়।
বিধিমালা পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।
আজ রোববারের কমিশন ৩৮ তম মুলতবি সভায় বিধিমালাটি চূড়ান্ত করে বলে জানান কমিশনের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান।
বিকাল তিনটায় মুলতবি সভা শুরু হয়। দেড় ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। তফসিল কবে নাগাদ হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিকালে কমিশনে আরেক দফা বৈঠক বসবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধী বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চলামান সংলাপে বিএনপির নতুন জোট ঐক্যফ্রন্ট এই দাবিটি তুলে ধরেছে। তবে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা সায় দেয়ার পর গত ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে ইভিএম ব্যবহারের পথ খুলে দেন।
এরপর নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এই যন্ত্রটি ব্যবহারের বিষয়টি চূড়ান্ত হলো।
যদিও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম চালু হয় আরও আট বছর আগে। ২০১০ সালের জুন মাসে স্বল্প পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে ইভিএম চালু হয়। তবে ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যন্ত্রটির ত্রুটি ধরা পড়লে ওই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ডিজিটাইজড সুবিধা সম্বলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। আর ২০১৬ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে এই যন্ত্রটি ব্যবহার শুরু হয়। আর চলতি বছর খুলনা, গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল রাজশাহী সিটি নির্বাচনে যন্ত্রটির ব্যবহার করা হয় সীমিত পরিসরে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, জাতীয় নির্বাচনেও স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার হবে। তবে কয়টি কেন্দ্রে তা ব্যবহার করা হবে তা কমিশনই চূড়ান্ত করবে। দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে এসব কেন্দ্র বাছাই করা হবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ভোটের তারিখ ও ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।