প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, সামনে নির্বাচন, আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে। একই সঙ্গে নৌ সদস্যদের সুযোগ সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতে বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটির কমিশনিং ও ২২টি বহুতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নৌবাহিনীকে সমুদ্রসীমার জন্য কাজ করার এবং ব্লু ইকোনোমির সম্ভাবনা তৈরিতে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দেন। কোষাগারে কোনো টাকা ছিল না। এরই মধ্যে তিনি নৌবাহিনীকে গড়ে তোলা এবং সমুদ্র সীমা নির্ধারণের কাজ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা পিছিয়ে পড়ি।
তিনি বলেন, ২১বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন শুরু করে। সেই সঙ্গে নৌবাহিনীকে ত্রিমাতৃক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। তারই ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক চৌকস। আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ফ্রিগেট। শেখ মুজিব ঘাঁটিও আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কোনো উন্নয়ন করেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়। নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ, আধুনিকায়ন ও তাদের বসবাসের জন্য আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। আজ আপনাদের আবাসিক সমস্যারও সমাধান হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম ও খুলনায় নৌবাহিনীর কয়েটি পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলেন। বহুতল ভবনের ফ্লাট পেয়ে তারা খুব খুশি।
ঢাকার কমান্ডার ফরহাদ ও তার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। আবাসন পেয়ে মিসেস ফরহাদ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। খুলনার মঈন মিয়ার পরিবারের মিসেস মঈন কথা বলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। তাদের দীর্ঘদিনের আবাসন সমস্যার সমাধান হওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনারা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য কাজ করছেন। আপনাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের।