সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রোববারের বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, সরকার ১২৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে। পুলিশ সদর দফতরের অধীনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এই প্রকল্পের মনিটরিং কার্যক্রম চালাবে।
তবে পুলিশ সদর দফতরের সূত্রের দাবি, এসব প্রকল্প নির্বাচনকে উপলক্ষ করে নয়, জরুরি ও সময়ের প্রয়োজনেই প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছে, সেই সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার শুধু নির্বাচনকে সামনে রেখেই হয় না, সব সময়েই হয়ে থাকে। অতীতের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাই জানে। প্রকল্পের আওতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে আপত্তিকর, ক্ষতিকর, বেআইনি পোস্ট ফিল্টার ও ব্লক করার জন্য কাজ করবে পুলিশ ও র্যাব।
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ’ প্রকল্পটি নভেম্বর (২০১৮) থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিলের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো করবে র্যাব। রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার, গুজব, মিথ্যা তথ্য দিয়ে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে জনগণকে যারা বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে,মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসাই হচ্ছে এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
এছাড়া,বিভিন্ন রকম গুজব, বিদ্বেষ ও বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মনিটরিং করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সত্য ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরে বিভ্রান্তি দূর করা এবং যেসব পেজ ও আইডি থেকে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হয়,সেগুলোর ব্যাপারে রিপোর্ট করা ও সেগুলো বন্ধের ব্যবস্থ করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রচারণার মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, যার ফলে উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র, বিদেশি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি জনগণের মাঝে দেশ সম্পর্কে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা প্রতিহত করা হবে। সচেতনতার মাধ্যমে সঠিক জনমত তৈরি ও সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে সরকারের ইতিবাচক দিকগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। বিভিন্ন রকম গুজব, বিদ্বেষ ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার প্রতিহত করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ক্ষেত্র তৈরিতে সাহায্য করাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।