ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার বেশিরভাগ মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তারা এমন কিছু বিষয় নিয়ে এসেছেন যেগুলো ৯০ দিনের মধ্যে সম্ভব নয়। এটা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার বাহানা। এমন হলে যে কোনো সময় তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে এক-এগারোর মতো কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শেষে গণভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
তিনি বলেন, নেত্রী পরিষ্কার করে তাদের আশ্বস্ত করেছেন, তিনি যেটা বলেছেন সেটা সত্য। জনগণের সঙ্গে কোনো প্রতারণা করবেন না। কোনো কারচুপি, জালিয়াতি হবে না। ফেয়ার, এক্সেপটেবল নির্বাচন হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যে কোনো কেন্দ্রে যাবে যেভাবে খুশি যাবে।
কাদের বলেন, আমরা আশাবাদী। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, একটি ফেয়ার নির্বাচন হবে, আপনারা সহযোগিতা করুন। যেটা সবার জন্য ভালো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সত্যিকারের রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং আইনমন্ত্রীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সংলাপে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল (৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে গত কয়েকদিনে যে আলোচনা হয়েছে তার সারসংক্ষেপ নিয়ে আমাদের অবস্থান, সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তারা পদযাত্রা করবে, রোডমার্চ করবে এগুলো তো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। তবে এগুলোর নামে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।
খালেদার মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদার মুক্তি ওইভাবে তারা চাননি। জামিন চেয়েছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
