জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে নাও থাকতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সংলাপের আগের রাতে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনিও যাবেন কি না, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় গণভবনে দুই পক্ষে যে বৈঠক হতে যাচ্ছে তাকে টেবিলে বসে সংকট সমাধানের শেষ উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় সতর্কতা দেয়া হয়েছে, আলোচনায় সংকটের সমাধান না হলে আন্দোলনে যাবে ঐক্যফ্রন্ট।
এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় ড. কামাল হোসেনের অসুস্থতার খবরে তার দল গণফোরাম এবং জোটের শরিক নেতারা তার বাসায় ছুটে যান।
এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য মত ও পথকে বলেন, ড. কামাল না এলে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম।
তাহলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কে নেতৃত্ব দেবেন- এমন প্রশ্নে ওই নেতা বলেন, যেহেতু এ দফায় রাজনৈতিক জটিলতা নিরসনে সংবিধানের ফাঁকফোকর নিয়ে আলোচনা হবে, তাই সেখানে সংবিধান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর গণভবনে সংলাপের জন্য আসা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। তার বিপরীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বসেন আওয়ামী লীগ ও তার জোট ১৪ দলের ২৩ জন নেতা।
ওই আলোচনার ফলাফলে খুশি নয় ঐক্যফ্রন্ট। আর এরপর আবার সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন। আর প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার বেলা ১১টায় সময় দেন।
এই সংলাপে আসার আগে সংবিধান নিয়ে তিন জন আইনজ্ঞর সঙ্গে কথা বলেছে ঐক্যফ্রন্ট। নিজেদেরকে ঝালাই করেই আসছে তারা।
এরই মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট সংলাপে যেতে ১১ নেতার নাম চূড়ান্ত করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। তবে এরপর ড. কামালের অসুস্থতার খবর জানা যায়। তিনি শেষমেশ সংলাপে যেতে না পারলে ফ্রন্টের নেতৃত্বে কে থাকবেন, সেই বিষয়টি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।