আজ ১০ ডিসেম্বর, ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন সেনাশাসকের বিরুদ্ধে ঢাকার রাজপথে সংগ্রাম করতে গিয়ে আত্মাহুতি দেন নূর হোসেন। তাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ নূর হোসেন এক অনন্য নাম।
বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক- স্বৈরাচার নিপাত যাক’, স্লোগান ধারণ করে শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিবসটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন সেনাশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং অব্যাহত আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সেনাশাসকের পতন ঘটে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পৃথম বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ সকাল ৮টায় রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি ) সকাল ৮টায় শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে (জিরো পয়েন্ট) পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসের সাহসী পুরুষ শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য দলের সব সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।