জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, কোনো তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পায়নি। তাই আমরা নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন চাই।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে কোনো দলই এককভাবে নির্বাচন করবে না। তখন জাতীয় পার্টি মহাজোটে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে তিনশো আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে জাতীয় পার্টির।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জিএম কাদের বলেন, ১৯৮২ সালে বাধ্য হয়েই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়েছে। এরশাদের নয় বছরের দেশ পরিচালনায় দেশের মানুষ সুশাসন, গণতন্ত্র এবং নিরাপত্তা পেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর থেকে মানুষ আর গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে পায়নি।
এরশাদের নেতৃত্বে একটি সরকার গঠন হলে দেশের মানুষ আবারও সুশাসন ও গণতন্ত্রের স্বাদ পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিলেও একটি দল অংশ নেয়নি, তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনও বর্জন করেছিল। এবারো নির্বাচনে আসবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এরশাদের শাসনামলকে বিতর্কিত করতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নুর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছিল। দুটি দল ২৭ বছর সরকার পরিচালনা করছে কিন্তু নুর হোসেন হত্যার বিচার কেউ করেনি। তিনি প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করে তাদের পরিচয় প্রকাশ্যে ঘোষণা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগ উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সুনীল শুভ রায়, মুজিবুল হক চুন্নু, মশিউর রহমান রাঙা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, মেজর (অব.) আশরাফ উদ-দ্দৌলা, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, এমএ তালহা, জহিরুল ইসলাম জহির, আলমগীর শিকদার লোটন, বাহাউদ্দিন আহম্মেদ বাবুল, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, আমানত হোসেন, সরদার শাহজাহান, যুগ্মমহাসচিব শফিকুল ইসলাম মধু, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. নোমান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ সেলিম, মো. ইসাহাক ভূইয়া, ফখরুল আহসান শাহাজাদা, মোস্তাকুর রহমান নাঈম প্রমুখ।