আওয়ামী লীগের কাছে রাজধানী ঢাকায় এবার চারটি আসন চাইবে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি (জাপা)। এর মধ্যে দুটি আসনে বর্তমানে জাপার সংসদ সদস্য রয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন করে ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) ও সেনানিবাস–অধ্যুষিত ঢাকা–১৭ (গুলশান-ক্যান্টনমেন্ট-ভাসানটেক) আসন দুটিতেও মনোনয়ন চাইবেন জাপার শীর্ষ নেতৃত্ব।
ইতিমধ্যে জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে প্রচার শুরু করেছেন। গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, ভাসানটেক ও শাহজাদপুর এলাকায় জনসংযোগ ও পথসভা করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এরশাদ এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সম্প্রতি এ এলাকায় জনসংযোগে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে এমপি ছিলাম। আবার নির্বাচন করতে চাই।
আর ঢাকা-১৩ আসনেও তৎপরতা চালাচ্ছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মিলিয়ে জাপার একমাত্র ওয়ার্ড (৩১) কাউন্সিলর।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাজধানী ঢাকায় জাপাকে দুটি আসন দিয়েছিল। সেবার ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) আসন থেকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) আসনে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সংসদ সদস্য হন। এবারও দুজন আসন দুটিতে নিজ দলের ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়ন প্রার্থী। দুই নেতা নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। এর মধ্যে সৈয়দ আবু হোসেন বেশি তৎপর। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস মো. আওলাদ হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ঢাকা-৬ আসনে জাপার জ্যেষ্ঠ নেতা কাজী ফিরোজ রশীদের প্রচার কম। তবে তিনি সাংগঠনিকভাবে সক্রিয়।
জাপার উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, এবার এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হতে অনড়। গত নির্বাচনেও তাঁকে এই আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। শেষ মুহূর্তে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে বিএনএফ সভাপতি আবদুল কালাম আজাদ এমপি হন।
এদিকে জাপা এ আসনটি নিয়েও আগ্রহী হয়ে উঠেছে। জাপা মনে করছে, চাপ দিলে এ আসনটি পাওয়া যাবে। এখানে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী শফিকুল ইসলাম গত সিটি নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।