ইরানের ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের পতন ডেকে আনতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
এ সময় তিনি ট্রাম্পের ‘যুক্তরাষ্ট্র ফার্স্ট’ নীতির সমালোচনা করে বলেন, এর মাধ্যমে মারাত্মক ভুল করছেন ট্রাম্প। এই নীতির কারণে আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন যে অবজ্ঞা দেখাচ্ছে তা চূড়ান্তভাবে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে ক্ষেপিয়ে তুলবে।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত আরবি দৈনিক ‘আল-আরাবি আল-জাদিদ’ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর পার্সটুডের।
সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আলাদা সেনাবাহিনী গঠন করার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনার শিকার হন।
ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্প তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ না করলে আজ আপনাদেরকে প্যারিসে বসে জার্মান ভাষা শিখতে হতো।
ট্রাম্পের ‘যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম’ নীতির তীব্র সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তির দেশ। সেদেশের সামরিক বাজেট গোটা বিশ্বের বাকি সব দেশের মোট সামরিক বাজেটের সমান। কিন্তু এই শক্তির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রর ধ্বংস ডেকে আনবে।
জারিফ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, তার দেশের এত বেশি শক্তি রয়েছে যে, আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলার কোনো প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রর নেই। কিন্তু ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস চূড়ান্তভাবে যুক্তরাষ্ট্রর পতন ঘটাতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।
২০১৫ সালে করা ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে চলতি বছর বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে প্রচণ্ড চাপে ফেলতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি মার্কিন মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা ডলারের বিকল্প হিসেবে নতুন লেনদেন ব্যবস্থা চালু করেছে।