বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর বিকালে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দল দেশে নির্বাচন চায় না। অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচিত শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন অর্জনে খুশি, আমরা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী। আমরা আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ভোট দেবে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করবে। এ নির্বাচন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আজ তারা পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। একটি গাড়ি প্রায় পুড়িয়ে ফেলে। তাদের হামলায় পুলিশের ১৩ সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে।
কাদের বলেন, এ উসকানি কারা দিল, তাহলে কি নির্বাচন পেছানোর জন্য? তারা পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের বীরত্ব জাহির করেছে এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা কি আজ জানান দিলেন, ২০০১ সালে যা করেছেন, ১৪ সালে যা করেছেন, আবারো তারা সেটাই করবেন। আজকের ঘটনায় তাদের উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা জনপ্রিয় জননন্দিত শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়। এটাই তাদের উদ্দেশ্য।
বেলা ১টার আগে বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের একটি বড় মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে মিছিল নিয়ে যেতে নিষেধ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিএনপি কর্মীরা পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মধ্যে চলে লাঠিপেটা।
একপর্যায়ে পুলিশ কিছুটা দূরে সরে গিয়ে নাইটিংগেল মোড়ে অবস্থান নেয়। বিএনপি কর্মীরা তখন নয়াপল্টনের সড়কে থাকা বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
সংঘর্ষের মধ্যে বিএনপি অফিসের সামনে থাকা অনেকে আশ্রয়ের আশায় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে যান। বিএনপি অফিসের সব ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়।
পল্টন থানার ওসি মাহমুদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পার্টি অফিসের সামনে আসা নেতাকর্মীরা সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করছিল। পুলিশ তাদের সুশৃঙ্খলভাবে থাকতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
বেলা দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গাড়িতে দেয়া আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন। বিএনপি কর্মীরা রাস্তা আটকে রাখায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় বলে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা জানান।